ম্যাচের শুরুতেই রাকিব-মোরছালিনের দারুণ বোঝাপড়ায় এগিয়ে গেল দল। পরে আর জালের দেখা না পেলেও এই গোল আগলে রেখে ২২ বছর পর ফুটবলে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ।
জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে সফরকারী ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
২২ বছর পর ফুটবল মাঠে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের পর আবার ভারতের বিপক্ষে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আসরে ৫ ম্যাচে বাংলাদেশের এটি প্রথম জয়। সঙ্গে দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের তালিকায় তিনে বাংলাদেশ। ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিঙ্গাপুর। ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে হংকং। তলানীতে থাকা ভারতের পয়েন্ট ২।
এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের একাদশে ফেরেন শমিত সোম ও মোরছালিন। সবশেষ গত ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে শমিত বদলি হিসেবে নামেন। মোরছালিন দলেই ছিলেন না চোটের কারণে। এই দুজনকে জায়গা দিতে বাদ পড়েন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও সোহেল রানা জুনিয়র।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট বাংলাদেশের অর্ধে বল বেশি থাকলেও ভারত তেমন ভীতি ছড়াতে পারেনি। একাদশ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। বাঁ পাশ থেকে রাকিবের বাড়ানো পাস ভারতের গোলকিপারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে পাঠান মোরছালিন। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তাঁর সপ্তম গোল।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চোট পেয়ে উঠে যেতে বার্ধ হন তারিক কাজী। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন শাকিল আহাদ তপু।
খানিক পর গোলকিপারের ভুলে গোল খেতে বসেছিল বাংলাদেশ। ত্রাতা হয়ে আসেন হামজা চৌধুরী। ভারতীয় খেলোয়াড়ের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করেন তিনি।
৩৪তম মিনিটে হঠাৎই উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। তপু বর্মণের সঙ্গে ভারতের বিক্রমের সংঘর্ষ উত্তেজনা থেকে রূপ নেয় হাতাহাতির পর্যায়ে। তপু ও বিক্রম, দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
বিরতির খানিক আগে হামজার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ায় ভারত। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু জালের দেখা পায়নি।
৭৮ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তপুর দুর্বল শট ফিরিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক। খানিক পর বাংলাদেশের পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেন রেফারি। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভারতের এক ডিফেন্ডারের হাতের পেছনের দিকে লেগেছিল বল।
পরে দুই দল চেষ্টা চালিয়েও জালের দেখা পায়নি। শেষ বাঁশি বজাতেই উল্লাসে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।
আইকে/টিএ