দেশের বুকে জন্মেছিলেন এক কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী পাশাপাশি ছিলেন কলম যোদ্ধাও। তিনি ব্যান্ডদল দলছুটের প্রতিষ্ঠাতা এবং অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন। সঞ্জীব দলছুটের চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সুরারোপও করেছেন। ১৯ নভেম্বর তার মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যান তিনি।
১৯৬৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সঞ্জীব হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স করে আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন সঞ্জীব চৌধুরী।
আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। দেশের দৈনিক পত্রিকায় ফিচার বিভাগের যাত্রা শুরুর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনন্য।
ছাত্রজীবনে ‘শঙ্খচিল’ নামে একটি গানের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে গঠন করেন ভিন্নধর্মী ব্যান্ড ‘দলছুট’। ‘দলছুট’ ব্যান্ডের এই প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও ছিলেন সক্রিয়।
কবি, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও সংগঠক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছেন সঞ্জীব চৌধুরী। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সংগীত ও কবিতায় সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী। তার গানে সমাজ, দেশ ও রাজনৈতিক সচেতনতার প্রতিফলন পাওয়া যায়।
১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘দলছুট’। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পার যৌথ উদ্যোগে এই ব্যান্ডের প্রকাশিত অ্যালবামগুলো হলো ‘আহ্ (১৯৯৭)’, ‘হৃদয়পুর (২০০০)’, ‘আকাশচুরি (২০০২)’ এবং ‘জোছনা বিহার (২০০৭)’।
সঞ্জীব চৌধুরীর সুর ও গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘বায়োস্কোপ’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘আমি তোমাকেই বলে দিব’, ‘রিকশা’, ‘কথা বলব না’, ‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে’, ‘চোখ’, ‘আহ ইয়াসমিন’ প্রভৃতি গান আজও দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
কেএন/টিএ