বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমির বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে। পিএসজির হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ শিরোপার ট্রেবল আর মরক্কোকে আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে তুলেছেন ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে। টানা ১৮ ম্যাচ জিতে সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার পথে গত বিশ্বকাপের বিস্ময়জাগানিয়া দলটি। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে হাকিমিও ৫২ বছরে প্রথম কোনো ডিফেন্ডার হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন।
এমন কীর্তি গড়ার পথে পিএসজির এই রাইটব্যাক ভোটে হারিয়েছেন মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ ও দারুণ ফর্মে থাকা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ভিক্টর ওসিমেনকে। বর্তমানে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকা হাকিমি ফরাসি ক্লাবটির হয়ে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ ওয়ান, কোপা ফ্রান্স ও উয়েফা সুপার কাপে জিতেছেন। যা ১৯৯৮ সালের (মিডফিল্ডার মুস্তাফা হাদজি) পর প্রথম কোনো মরক্কান হিসেবে তাকে বর্ষসেরার পুরস্কার জেতাতে ভূমিকা রেখেছে।
এ ছাড়া ১৯৭৩ সালে সর্বশেষ কোনো ডিফেন্ডার হিসেবে জাইরে (বর্তমানে ডিআর কঙ্গো) সেন্টারব্যাক বোয়াঙ্গা শিমেন হন আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার। বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার নিতে ওয়াকারে ভর নিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন আশরাফ হাকিমি।
প্রথমবার মহাদেশের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে হাকিমি জানিয়েছেন, ‘এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জেতা অবশ্যই আমার জন্য খুবই গর্বের মুহূর্ত। এটি কেবলই আমার নয়, বরং আফ্রিকা থেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখা প্রতিটি শক্তিশালী পুরুষ-নারী সবার জন্য। আমি শিশু থাকাকাল থেকে যারা আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন তাদের জন্য তো অবশ্যই, যারা ভেবেছিলেন আমি একদিন পেশাদার ফুটবলার হয়ে উঠব। আমি তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
আফ্রিকান ফুটবলের এই বাৎসরিক অনুষ্ঠানে মরক্কো আরও দুটি পুরস্কার জিতেছে। হাকিমির সতীর্থ ও সৌদি ক্লাব আল হিলালে খেলা ইয়াসিন বুনো বর্ষসেরা গোলরক্ষক এবং নারী ফুটবলে বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মরক্কোর গিজলেন চিবাক।
টানা তৃতীয়বারের মতো আফ্রিকার নারী ফুটবলের বর্ষসেরা গোলরক্ষক হয়েছেন নাইজেরিয়ার চিয়ামাকা নাদোজি। যিনি সম্প্রতি ইংলিশ ক্লাব ব্রাইটনের হয়ে ওমেন্স সুপার ক্লাবে উঠেছেন। আফ্রিকার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার উঠেছে প্রথমবার ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠা কেপ ভার্দের কোচ বুবিস্তা।
ইএ/এসএন