সুস্থ থাকতে কে না চায়? সুস্থ থাকার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে, এগুলি ছাড়াও আরও কিছু মজার উপায় রয়েছে, যা আপনাকে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার গ্যারান্টি দেয়।
হাসি
কথায় আছে, ‘হাসি সর্বোত্তম ওষুধ, এটি একেবারেই ফেলনা কোনো বিষয় বা কথার কথা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, আন্তরিকভাবে হাসলে তা শরীরকে স্ট্রেস হরমোনের (কর্টিসল) মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। প্রাণখোলা হাসি আপনার রক্তচাপ কমিয়ে দেহে অক্সিজেনের প্রবাহকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসবের মধ্য দিয়ে হাসি আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে সক্ষম।
বিশ্রাম
মনে রাখবেন, জীবনে বিশ্রাম নেয়াও অত্যাবশ্যক। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা এবং প্রতিদিন অনুশীলন করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর উপকার করতে পারে। তবে অত্যধিক কাজ বা শরীরচর্চা করলে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যায়াম করা আসলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
গ্রামে বসবাস করা
শহুরে জীবনের বিপরীতে গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে জীবনযাত্রা ধীর ও প্রাকৃতিক। আপনি যখন শহরের ভিড় থেকে দূরে বাস করবেন, তখন আপনি ব্যাকটেরিয়া সমূহের সরাসরি সংস্পর্শে থাকবেন। যা আপনার প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও কার্যকর করতে তুলতে সাহায্য করবে।
আশাবাদী হওয়া
জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক ও আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আপনার শরীর এবং মনের স্বাস্থ্যের পক্ষে ইতিবাচক। জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোকে গুরুত্ব দেয়া এবং যুক্তি দিয়ে নানা ঘটনার বিচার করা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সুতরাং, আপনি যখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তখনও আপনি মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেন। এর জন্য অবশ্য ইতিবাচক থাকার অনুশীলন এবং উন্মুক্ত চিন্তার বিকাশ প্রয়োজন।
কিছুটা অগোছালো হওয়া
খুব বেশি পরিপাটি থাকা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিরূপ হতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, প্রকৃতপক্ষে নিজেকে এবং আপনার চারপাশকে খুব বেশি পরিচ্ছন্ন রাখার বাসনা আসলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে। কারণ, খুব বেশি পরিচ্ছন্নতা আমাদেরকে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখে। ফলে যখন আমরা মাঝে মধ্যে বাইরে উন্মুক্ত পরিবেশে যাই, তখন জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শ আমাদের গুরুতর অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই স্বাস্থ্যের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে কিছুটা অগোছালো স্বভাব।তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান টাইমস
টাইমস/এনজে/জিএস