প্রাথমকি ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘একটা শিশুকে স্বপ্ন দেখাতে হবে, স্বপ্ন শেখাতে হবে। সে যেন স্বপ্ন দেখতে পারে। এটা খুবই গুরুত্বর্পূণ বিষয়। ফলে শিশুকে স্বপ্ন দেখানোটা খুবই গুরত্বপূর্ণ।
আমিও পারি, এই সাহসটা জাগ্রত করতে হবে। শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিশুর মধ্যে সুপ্ত সম্ভাবনাগুলোকে বিকাশ করা। এ ছাড়া শিশুকে সুনাগরিক এবং সমাজে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
এ কাজটি আমরা করব পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে অথবা উচ্চ পাঠ্যক্রমরে মাধ্যমে।’
রবিবার (২৩ নভম্বের) দুপুরে টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমি ভবনে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক মতবনিমিয়সভায় প্রধান অতথিরি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলনে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ভূমিকম্পের মতো অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। ভূমিকম্প যেকোনো সময় হতে পারে।
তাই আতঙ্ক নয়, বরং সতর্কতা ও প্রস্ততিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক নির্দেশনা ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। যা বিদ্যালয় পরিচালনায় বড় বাধা তৈরি করছে। মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ পদোন্নতি দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে।
বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। শিক্ষক সংকট দূর করতে ইতিমধ্যে বড় আকারে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আরো গতিশীল হবে।’
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রাথমকি ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়রে সচিব আবু তাহের মাসুদ রানা, অতিরিক্তি বিভাগীয় কমিশনার আজমুল হক এবং প্রাথমকি ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আবু নূর শামসুজ্জামান প্রমুখ। এ সময় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং স্কুলের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
টিজে/টিএ