২০২০ সাল জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন তোলা সময়টি পার করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। চারদিকে বিতর্ক, মানসিক চাপ আর স্থির থাকতে না পারার অস্থিরতা। ঠিক সেই সময়েই তিনি নতুন এক ভরসা খুঁজে পান মন্ত্রপাঠে। রিয়া জানান, সেই বছরই তিনি প্রথম হনুমান চালীসা পড়া শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিয়ম হয়ে ওঠে প্রতিদিনের সাধনার মতো। এখনো তিনি চেষ্টা করেন দিনে অন্তত একবার, কখনও দুবারও, মন্ত্রটি পড়ার।
তার শুধু পাঠ নয়, একবারে সাতবার উচ্চারণ করেন তিনি। রিয়ার কাছে এটি আর শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বরং এক বিশেষ ধ্যান মনকে প্রশান্ত করার, ভেতরের অস্থিরতা থামানোর এক পথ। জীবনের কঠিন সময় পেরিয়ে আজ তিনি দাঁড়িয়েছেন অনেকটাই দৃঢ় হয়ে। আর এই পরিবর্তনের পেছনে নিজের মানসিক শক্তিকে তিনি অনেকটাই কৃতিত্ব দেন এই নিয়মিত মন্ত্রপাঠকে।
রিয়া বলেন, দিনের শুরু হোক কিংবা শেষ, হনুমান চালীসা তার জন্য যেন নির্ভরতার আলো। তা তাকে স্থির করে, মনকে শান্ত করে, আর জীবনের ব্যস্ততা থেকে এনে দেয় এক ধরনের পরিষ্কার ভাবনা। বিতর্কের বাইরে, ব্যক্তিজীবনে এই আধ্যাত্মিক অনুশীলনই তাকে আজ আরও সংযত ও সংহত করেছে।
আরপি/টিকে