বলিউডের নায়িকাদের মধ্যকার বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য বরাবরই দর্শককে মুগ্ধ করে এসেছে। কেউ স্নিগ্ধতা দিয়ে হৃদয়ে জায়গা করে নেন, কেউ বা আবেদনময় উপস্থিতিতে ঝড় তোলেন পর্দায়।
জুহি চাওলার নরম হাসি, সোনালী বেন্দ্রের শান্ত সৌন্দর্য কিংবা আলিয়া ভাট–কিয়ারা আদভানির সহজ-সরল চোখ এই স্নিগ্ধতার ধারাটি বলিউডে আজও অটুট। একই সঙ্গে জিনাত আমান থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, জাহ্নবী কাপুর বা দিশা পাটানিদের বোল্ড লুকও সমানভাবে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকের মনে। এ দুই মেরুর গুণ যেন এক শরীরে ধারণ করে নিয়েছেন বলিউডের তরুণ প্রজন্মের নতুন তারকা তৃপ্তি দিমরি। এক মুহূর্তে তার মুখে ফুটে ওঠে শুদ্ধ স্নিগ্ধতা, আর পর মুহূর্তেই তিনি হয়ে ওঠেন নিখাদ গ্ল্যামারের প্রতিমূর্তি।
তৃপ্তি প্রথম আলোড়ন তোলেন ‘বুলবুল’ ও ‘ক্বালা’তে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তিনি যেন গল্পের মধ্য থেকে উঠে আসা কোনো শান্ত, স্নিগ্ধ, অবিকৃত চরিত্র যাকে দেখলেই মনে হয় মায়াবী কোনো কল্পজগৎ থেকে এসেছে। সাদামাটা পোশাক, নরম চোখ সব মিলিয়ে তাকে বরাবরই ‘স্নিগ্ধ সৌন্দর্যের প্রতীক’ বলে মানতেন ভক্তরা।
কিন্তু ‘এনিম্যাল’ দিয়ে সেই ধারণা বদলে যায় পুরোপুরি। ছবিতে তৃপ্তির উপস্থিতি ছিল ধরা-ছোঁয়ার বাইরে সাহসী ও গ্ল্যামারাস।
রেড কার্পেট থেকে ফটোশুট সব জায়গায় নতুন এক তৃপ্তিকে আবিষ্কার করেন দর্শকরা। যেন তিনি নিজের সৌন্দর্যের আরেকটা অধ্যায় খুলে দেখালেন যা আগে দেখা যায়নি।
‘এনিম্যাল’-এর পর থেকে তৃপ্তির সোশ্যাল মিডিয়া যেন গ্ল্যামারের আলোকমেলা। একেকটি ছবিতে তিনি যেন আগুন জ্বালানো আবেদনময়, তবে কোথাও যেন সেই কিউট ফ্যাক্টরটিও অটুট যা তাকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।
ক্রপ টপ থেকে স্লিক ব্ল্যাক ড্রেস, বোল্ড মেকআপ থেকে ন্যাচারাল লাইট তৃপ্তির লুক পরিবর্তনের ক্ষমতা সিনেমা থেকে বেরিয়ে এখন দর্শকের দৈনন্দিন আলোচনায়।
তৃপ্তি দিমরির জনপ্রিয়তার মূল রহস্যই বোধহয় এটাই তিনি কেবল ‘কিউট’ নন, শুধু ‘হট’ও নন। তিনি দুটো জগতের মিশ্র রূপ একদিকে মায়াবী কোমলতা, অন্যদিকে আগুনঝরা গ্ল্যামার। আর এই পরিবর্তনশীল সৌন্দর্যই তাকে বলিউডের নতুন সেনসেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
এমআর/টিকে