নতুন পে স্কেল প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় বেতন কমিশন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে সব সচিব সভায় উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে সচিবদের নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।’
সুপারিশ কবে হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।
নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন।
এরইমধ্যে গত ১ থেকে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছে।
এদিকে পে কমিশনের জন্য আলাদা কমিশন কাজ করছে জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপরই কমিশন দিতে হবে। বর্তমান সরকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, আর পরবর্তী সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ বছরে এ বিষয়ে কিছু হয়নি, তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এখানে বাজেটের বিষয়ও আছে এবং সরকারের অন্যান্য সামাজিক খাতকেও বিবেচনায় নিতে হবে। পরবর্তী সরকার পে কমিশন দিবে না কেন? এটা তো যৌক্তিক।’
এদিকে পে কমিশনকে সুপারিশ দাখিলের জন্য ৩০ নভেম্বর আলটিমেটাম দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। এই সময়ের মধ্যে সুপারিশ না দিলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা। পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশও করবেন কর্মচারীরা।
ইএ/টিকে