বলিউডে যেন হঠাৎ থমকে গেল সময়। সোমবার দুপুরে মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানকে ঘিরে যখন আচমকা বাড়ানো হলো নিরাপত্তা, তখনই বাতাসে ভেসে উঠল একটাই প্রশ্ন ভারতীয় সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি ধর্মেন্দ্র কি আর নেই? দেওল পরিবারের তরফে কোনও ঘোষণা না এলেও, শ্মশানের প্রবেশপথে হেমা মালিনি, সানি দেওল, ববি দেওল, এষা দেওলদের উপস্থিতি মুহূর্তেই উদ্বেগ ছড়িয়ে দেয় অনুরাগীদের মনে। আরও আলোচনায় যোগ হয় অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, আমির খানের মতো তারকার আগমন।
এই অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিতে এসে যেন আগুনে ঘি ঢালল করণ জোহরের সোশ্যাল পোস্ট। ধর্মেন্দ্রকে উদ্দেশ করে তাঁর শোকবার্তাটি ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে বলিউডজুড়ে ভক্তমহল। করণের লেখা সেই পোস্টে উঠে আসে গভীর যন্ত্রণার সুর তিনি লিখলেন, এক যুগের অবসান। এমন একজন মহানায়ককে স্মরণ করলেন, যাঁকে তিনি বললেন মূলধারার সিনেমার প্রকৃত নায়ক, অসাধারণ সুদর্শন, রহস্যময় পর্দা-উপস্থিতির অধিকারী। তাঁর ভাষায়, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ধর্মেন্দ্রর উজ্জ্বল উপস্থিতি চিরকাল অটুট থাকবে।
করণ শুধু শিল্পীর গল্পই তুলে ধরেননি, বলেছেন মানুষ ধর্মেন্দ্রর কথা একজন উজ্জ্বল, দয়ালু, সকলের কাছের মানুষ। তাঁর আলিঙ্গন, আশীর্বাদ, মমতা সবকিছুই যে কতটা প্রিয় ছিল, তা ভাষায় ধরতে পারেননি করণ। তিনি এও লিখলেন, এমন শূন্যতা পূরণ করার মতো কেউ নেই। কাজের স্মৃতি মনে করে করণের চোখ ভিজেছে; সেই আবেগই যেন ফুটে উঠেছে তাঁর শেষ লাইনটিতে আভি না যাও ছোড় কে, দিল আভি ভারা নহি।
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর নিয়ে যতটা আলোড়ন, ততটাই বিভ্রান্তি। কিছুদিন আগেই তাঁর বিষয়ে ভুয়া খবর ছড়ানোর পর এবার পরিবারের নীরবতা ভক্তদের মন আরও অস্থির করে তুলছে। তবে শ্মশানে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছনো, রাজনৈতিক নেতাদের দেখা পাওয়া, বলিউড তারকাদের ভিড় সব মিলিয়ে যেন এক অনিবার্য সত্যের সম্ভাবনা আরও গাঢ় হয়ে উঠছে। একজন কিংবদন্তি শুধু জন্মান না, তিনি সময়কে ছাপিয়ে বেঁচে থাকেন।
আরপি/টিকে