সীমান্তে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। স্থানীয় সময় সোমবার এ কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং। তিন স্তরের কাঁটাতার, টহল জোরদার আর সামরিক আলোচনায় পিয়ংইয়ংয়ের নীরবতা আরও ‘বিপজ্জনক’ হয়ে উঠছে বলেও জানান তিনি।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ বহু বছরের পুরনো। তবে এবার পরিস্থিতি অস্বাভাবিকভাবে উত্তপ্ত। এরমধ্যে নতুন করে সীমান্ত বরাবর কাঁটাতারের বেড়া ও সামরিক স্থাপনাও নির্মাণ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া।
এরই জেরে সীমান্তে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং বলেন, তিন স্তরের কাঁটাতার, টহল জোরদার আর সামরিক আলোচনায় পিয়ংইয়ংয়ের নীরবতা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। বলেন, ১৯৫৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এমন আগ্রাসী প্রস্তুতি আর দেখা যায়নি।
জি–২০ সম্মেলন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তুরস্কগামী বিমানে সাংবাদিকদের লি আরও জানান, বর্তমানে উত্তর কোরিয়া বেশ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
যদিও এর আগে সীমান্তে চিহ্ন নির্ধারণ ও সামরিক উত্তেজনা কমাতে আলোচনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল সংঘর্ষ ঠেকানো। তবে পিয়ংইয়ং কোনো সাড়া দেয়নি। এরইমধ্যে উত্তর কোরিয়ার সেনারা অন্তত দশবার সীমান্ত অতিক্রম করেছে। এর পর কয়েক দফা সতর্কতামূলক গুলি চালায় দক্ষিণ কোরিয়া।
লি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। তবে স্থায়ী শান্তি কাঠামো গড়ে উঠলে যুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করাও সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এসব মহড়াকেই দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি বলে অভিযোগ করে আসছে পিয়ংইয়ং। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
আইকে/টিএ