নতুন পে স্কেল প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে এক ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের পর কমিশন আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সুপারিশমালা সরকারের কাছে জমা দিতে পারবে।
সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
তবে সব সচিব উপস্থিত হননি, পরে অনুপস্থিতদের নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।’ সুপারিশ কবে নাগাদ জমা হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।’
এই দ্রুত রিপোর্টের আশ্বাসের মধ্যেও, নতুন বেতন কাঠামোর বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে, তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর চূড়ান্ত পে কমিশন গঠিত হবে।
বর্তমান সরকার কেবল একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, কিন্তু এর বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী সরকার।
কর্মচারীদের আলটিমেটাম
কমিশনের এই কাজের গতির বিপরীতে কর্মচারী নেতারাও কঠোর অবস্থানে অনড়। তারা পে কমিশনকে সুপারিশ দাখিলের জন্য ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত সময়সীমা (আলটিমেটাম) দিয়েছেন।
কর্মচারী নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে সুপারিশ না দিলে তারা কঠোর আন্দোলনে নামবেন।
পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মচারীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন।
উল্লেখ্য, এই কমিশন গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয়। এর আগে কমিশন গত ১ থেকে ১৫ অক্টোবর অনলাইনে সর্বসাধারণ, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে প্রশ্নমালার মাধ্যমে মতামত সংগ্রহ করেছিল।
আইকে/টিএ