বছরের শুরুতে আমরা ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বা ‘শুভ নববর্ষ’ বলার মধ্য দিয়ে একজন অন্যজনকে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে নতুন বছরটি কাটানোর জন্য শুভ কামনা জানাই। তবে সুখী থাকতে হলে সুস্থ থাকা প্রয়োজন, আর তার জন্য প্রয়োজন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা। কথায় আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।
নতুন বছরে অনেকেই জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। নতুন বছরের শুরুতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আপনাকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সহায়তা করতে পারে। কারণ দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ অভ্যাসগুলি আমাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
খাদ্যাভ্যাস যাচাই করুন
আপনি যা খান তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। আপনার শরীরের ওজন থেকে শুরু করে দেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে আপনার খাদ্যাভ্যাস প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরে একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, যাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি আপনাকে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করবে। আপনি সমস্ত পুষ্টিও পাবেন। তেলে ভাজা, প্রক্রিয়াজাত ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
রাতের ভালো ঘুম না হলে মেজাজ খারাপ থাকে, অলসতা ও অবসাদ দেখা দেয়। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এটি আপনার দিনকে আরও উৎপাদনশীল করে তুলতে সহায়তা করবে। ঘুমের অভাবে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এটি ওজন বৃদ্ধি, স্ট্রেস, ক্লান্তি, অবসাদ প্রভৃতিতে অবদান রাখতে পারে। তাই আরও ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসুন।
চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন
বর্তমান সময়ের জটিল পরিস্থিতি আমাদের জীবনে প্রতিদিন প্রচুর স্ট্রেস বা মানসিক চাপ বয়ে আনে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্ট্রেস আপনার প্রতিদিনের কাজ সমূহকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই এমন অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, যা আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে মানসিক চাপের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে। ধ্যান ও যোগব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস করুন
নিয়মিত শরীরচর্চা করা আপনার পক্ষে কিছুটা পরিশ্রমের হতে পারে। তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য অগণিত ভালো ফল বয়ে আনবে। বেশিরভাগ মানুষের জীবনে শরীরচর্চা করার মতো সময় থাকে না।
কিন্তু নিয়মিত শরীরচর্চা উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই। কারণ এজন্য আপনাকে জিমে ঘণ্টা খানেকের জন্য ব্যায়াম করতে হবে না। সকালে হাটতে যাবার মতো সাধারণ শরীরচর্চার অভ্যাসও আপনাকে একই রকম সুফল দেবে। নিয়মিত শরীরচর্চা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেশ কয়েকটি মারাত্মক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং আপনাকে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
টাইমস/এনজে/জিএস