ভালো থাকাটা কার না কাম্য! আমরা সবাই ভালো থাকতে চাই। কিন্তু ভালো থাকবেন কীভাবে, তার উত্তর অনেকেরই কাছেই নেই। তাই তো কেউ কেউ ভালো থাকার আশার এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ান। তবে আর ঘুড়াঘুড়ি নয়! এবার জানতেই হবে ভালো থাকার পেছনে কী বাধা রয়েছে। যা থেকে বেরিয়ে আসলে আমরা ভালো থাকতে পারব।
চলুন জেনে নিই, ভালো থাকতে নিজের মধ্য থেকে যেসব বিষয় ঝেরে ফেলতে হবে-
তুলনা করা
ফেসবুকে অন্যের দেয়া ছবি দেখে হিংসা করার কিছু নেই। সেই ছবি দেখে ‘আমার জীবনে কেনো এরকম?’ এই ভাবনারও কোনো মানে হয় না। কারণ ফেসবুকে দেয়া সুন্দর ছবিটা তার একটা মুহূর্তের অংশ মাত্র। সেটা দেখে অন্যরা ভালো আছে, আর নিজে ভালো নেই এ রকম তুলনা করার কোনো মানে হয় না। বরং যাদের প্রতি গুণমুগ্ধ এই বছর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন।
ভয় থেকে পিছিয়ে থাকা
কোনো কিছু করার জন্য ভয় পেয়ে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে- ভয়, লজ্জা ও অপরাধবোধের ওপর আলো ফেলুন। ভাবুন কেনো এরকম ভাবছেন। এসব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে বিছানায় গা এলিয়ে না থেকে বরং ঝটকা দিয়ে উঠে বসুন। তারপর যা করতে চান সেটা করার চেষ্টা করুন।
যা হবে না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা
দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা সব সময় সম্ভব হয় না। বরং বলা যায়, এগুলো জীবনেরই অংশ। তবে সব বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মানে হয় না। বিশেষ করে যেগুলোর কোনো সমাধান আপনি করতে পারবেন না।
মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যদি নাই কমাতে পারেন তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা, যা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে সহজেই দূর করা সম্ভব।
পুরানো রাগ পুষে রাখা
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরানো অসন্তোষ কিংবা রাগ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় পুষে রাখা শরীর ও মনের জন্য বিষাক্তকর। তাই ঝেরে ফেলুন মনে পুষে রাখা পুরানো রাগ। যাদের কারণে এই বোধ চেপে রাখছেন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করুন। অথবা সেই সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করুন।
অন্যরা কী ভাববে
সবার মন রক্ষা করে চলা সম্ভব না। আবার সবাই আপনাকে সঠিকভাবে চিনবে সেটাও ঠিক না। তাই যারা আপনাকে সম্মান করবে, অভয় দেবে, তাদের সঙ্গেই থাকুন। অন্যরা কী ভাবল সেই চিন্তা মাথা থেকে বের করে দিতে হবে। কারণ, সবাই সব ‘গ্রুপে’ থাকতে পারবে- এটা একটা অবান্তর ভাবনা।
তর্কে সবসময় জেতার চেষ্টা
অন্যের সঙ্গে ঝগড়া করে নিজেকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করার মাঝেও মানসিক চাপ কাজ করে। কারণ, ঝগড়ার সময় নিজে সঠিক প্রমাণ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় বাজে কথা বলে থাকি। পরে আবার নিজের মাঝেই সেই অপরাধবোধ কাজ করে।
তাই, সব ঝগড়ায় জিততেই হবে এই মনোভাব বাদ দিন। যে বিষয়ে ঝগড়া হতে পারে সেটা নিয়ে তর্ক না করে বরং সমাধান করার চেষ্টা করুন। আর তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান না হলে বরং সময় নিন।
টাইমস/জিএস