বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপ পুরস্কার পেয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক প্রচেষ্টা এবং গাজা থেকে রোগীদের বিদেশে নেয়ার ক্ষেত্রে তুরস্কের ভূমিকার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) আঙ্কারায় ডব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিবেদন মতে, বুধবার (২৬ নভেম্বর) আঙ্কারায় ডব্লিউএইচওর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগে এরদোয়ানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এরদোয়ান গত দুই বছর ধরে গাজায় হাসপাতাল ধ্বংস এবং রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী ও শিশুদের হত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গাজার হাসপাতালগুলোতে বোমা হামলা এবং রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী, শিশু এমনকি ইনকিউবেটারে থাকা নিষ্পাপ শিশুদের হত্যার বাস্তবতা থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সরানো অবশ্যই সহজ হবে না।’
এরদোয়ান আরও বলেন, যেদিন বিশ্ব মানবতা একটি জীবন বাঁচানোর সম্মিলিত আনন্দ ভাগ করে নেবে এবং প্রতিটি নবজাতকের নিরাপদ আগমনকে তার নিজস্ব আনন্দ হিসেবে উদযাপন করবে, সেদিন পৃথিবী স্বর্গে পরিণত হবে।
ইসরাইলি হামলায় আহত ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসায় বাধা দিচ্ছে ইসরাইল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার বাইরে নিয়ে চিকিৎসা না করায় ইতোমধ্যে ৯০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে গাজা থেকে রোগী স্থানান্তরের পথ খুলে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস। তিনি বলেছেন, ‘অপেক্ষায় রেখে মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা ক্ষুণ্ণ করা অমানবিক।’
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ রোগী এখনও স্থানান্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন। ইসরাইলি বাধায় তাদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো রোগী ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
আরপি/এসএন