নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন ফারাহ নাজ। সৌন্দর্য, আকর্ষণীয় স্টাইল ও মাধুর্য দিয়ে লাখো হৃদয়ে রাজ করেছিলো। আজ সেই নাম কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে।
টাবুর বড় বোন ফারাহ নাজ। টাবু তার অভিনয় দিয়ে এখনো বলিউড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সেখানে ফারাহ’র ক্যারিয়ার এক ভুলের জন্য শেষ হয়ে গিয়েছে।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘ফাসলে’ ছবি দিয়ে বলিউডে তার অভিষেক হয়। ছবিটিতে তার সৌন্দর্য, উপস্থিতি, অভিনয় দক্ষতা, অভিব্যক্তি দেখে যে কোনো পরিচালক তাকে ছবিতে নিতে চায়।
টাবুর বড় বোন ফারাহ
তারপরই ঘটে সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। যা সবকিছু বদলে দেয়। ‘কাসাম ওয়ারদি কা’ ছবির শুটিং চলাকালীন সহ অভিনেতা চাঙ্কি একটি রসিকতা করেন, যা ফারাহর ভালো লাগেনি।
রাগের মাথায় তিনি চাঙ্কিকে চড় মেড়ে বসেন । বিষয়টি দ্রুতই বড় বিতর্কে পরিণত হয়।
বলিউডের রাগী অভিনেত্রীদের মধ্যে ফারাহর নাম বারবার উঠে আসে। আরেকটি বিতর্কের জন্ম হয় ‘রাখওয়ালা’ ছবির সময়। ছবিটি ফ্লপ করার পরে অনিল কাপুর মন্তব্য করেন, ‘মাধুরী দীক্ষিত আমার বিপরীতে থাকলে হয়তো ছবিটি চলতো।’এই মন্তব্যে ফারাহ ক্ষেপে যান এবং প্রকাশ্যে অনিলকে হুমকি দেন।
স্টাইলিশ ফারাহ
শুধু ক্যারিয়ার না ফারাহ দাম্পত্য জীবনেও ছিল অশান্ত। অভিনেতা বিন্দু দারা সিংহের সাথে তার প্রেম হয় এবং ১৯৯৬ সালে তারা বিয়ে করেন। ১৯৯৭ সালে তাদের ছেলে ফতেহ জন্মায়।
কিন্তু ছয় বছর পর থেকেই তাদের দাম্পত্যে সমস্যা বাড়তে থাকে। রাগী স্বভাব, জেদ সব মিলিয়ে সম্পর্ক ভাঙনের দিকে যায়। শেষ পর্যন্ত তাদের ডিভোর্স হয় যা ফারাহর ইন্ডাস্ট্রিতে আরও খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করে।
সাবেক স্বামী বিন্দু দারা সিংহ ও ফারাহ
ক্যারিয়ারে ফারাহ রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র, ঋষি কাপুর, বিনোদ খান্না, মিঠুন, সঞ্জয় দত্ত, অনিল কাপুর, রাজ বাব্বর, গোবিন্দা, আমির খান এমন অনেক বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেন।
‘ইমানদার’, ‘নসীব আপনা আপনা’, ‘ইয়াতীম’ এমন বহু ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।
কিন্তু এত সাফল্য থাকা সত্ত্বেও তার ক্যারিয়ার খুব দূর যেতে পারেনি এবং শেষ পর্যন্ত তিনি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেন।
ফারাহ নাজের রাগী স্বভাব, বিতর্ক, আর ভাঙা দাম্পত্য সব মিলিয়ে তার ক্যারিয়ার একেবারে থেমে যায়। যে পর্দায় তার অভিনয় দিয়ে জাদু ছড়িয়েছিলো সেই বাস্তব জীবনে নিজের আবেগের কাছে হেরে গিয়েছে।
এমকে/এসএন