দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা নাগা চৈতন্য। সামান্থা রুথ প্রভুর প্রাক্তন স্বামী হিসেবে আলোচনায় থাকলেও, নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে তিনি ইন্ডাস্ট্রি ও ভক্তদের মনে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। নাগার্জুনা আক্কিনেনির বড় ছেলে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তার সৎমা, একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অমলা আক্কিনেনির সম্পর্ক কেমন তা নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সম্পর্কের অজানা দিক উন্মোচন করলেন অমলা।
সৎমা নয়, যেন বন্ধু দেশের একটি গণমাধ্যম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমলা জানান, সৎমা হলেও নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। সম্পর্কের শুরুর দিকটা স্মরণ করে অমলা বলেন, ‘চৈতন্যর সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হয়, তখন সে বেশ তরুণ। তার মা চেন্নাইয়ে থাকতেন বলে সে সেখানেই বড় হয়েছে। কলেজের জন্য যখন সে হায়দরাবাদে এলো, মূলত তখনই তাকে সত্যিকার অর্থে জানার সুযোগ হয় আমার।’
নাগা চৈতন্যর ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘চৈতন্য দারুণ একজন মানুষ। বয়সের তুলনায় সে অনেক বেশি পরিণত ও প্রজ্ঞাবান। সে খুবই দায়িত্বশীল। সে এমন একজন, যে কখনো ভুল করেনি এবং সবসময় বাবার কথা শুনেছে। তার নিজের পরিকল্পনা ও ভাবনা সবসময়ই ছিল।’
দুই সন্তান ও প্যারেন্টিং অমলা আক্কিনেনির নিজের সন্তান অভিনেতা আখিল আক্কিনেনি। সৎছেলের পাশাপাশি নিজের সন্তানের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। অমলা বলেন, ‘আখিল অবশ্যই আমার ছেলে, তার ওপর আমার প্রভাব থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা আমাদের দুই ছেলেকেই খুব স্বাধীনভাবে বড় করেছি। ছোটবেলা থেকেই তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছি।
আমাদের উৎসাহেই তারা সাফল্য ও ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে শিখেছে এবং সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে।’
পারিবারিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গত, সুপারস্টার নাগার্জুনা আক্কিনেনি ১৯৮৪ সালে প্রযোজক রামা নাইডুর কন্যা লক্ষ্মী দাগ্গুবতীকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র সন্তান নাগা চৈতন্য। ১৯৯০ সালে এই দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ১৯৯২ সালে নাগার্জুনা বিয়ে করেন অভিনেত্রী অমলা মুখার্জিকে। তাদের ঘরে জন্ম নেন আখিল আক্কিনেনি। বর্তমানে দুই ভাই-ই অভিনয়ে সক্রিয়।
অমলার ক্যারিয়ার কলকাতায় জন্ম নেওয়া অমলা বেড়ে উঠেছেন মাদ্রাজে। ১৯৮৬ সালে তামিল সিনেমা ‘মিথিলি এন্নাই কাখালি’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং প্রথম সিনেমাতেই ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নেন। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালে ‘কানাম’ সিনেমার মাধ্যমে আবারও পর্দায় ফেরেন এই গুণী অভিনেত্রী।
এমকে/এসএন