বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন গত সোমবার। কয়েকদিন ধরেই তার শারীরিক অবস্থাকে ঘিরে বিভিন্ন জল্পনা চলছিল। মৃত্যুর দিন মুম্বাইয়ের জুহু বাসভবনের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স দেখা যাওয়ায় ভক্ত ও গুণগ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগের ছায়া নেমে আসে। পরে নিশ্চিত হয়, ধর্মেন্দ্র আর নেই। খবর আনন্দবাজারের।
মুম্বাইয়ের পওন হানস শ্মশানে তার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খানসহ বলিউডের বহু তারকা।
এ পর্যন্ত ধর্মেন্দ্র পরিবার থেকে কেউও প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও অবশেষে নীরবতা ভেঙে হেমা মালিনী সামাজিক মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) স্বামীকে নিয়ে এক আবেগঘন বার্তা শেয়ার করেন। বার্তার সঙ্গে তিনি তাদের জীবনের বহু অদেখা ছবি প্রকাশ করেছেন।
হেমা লিখেছেন, ধর্মজি তার জীবনের বহু পরিচয়ের সমষ্টি ছিলেন-স্নেহশীল স্বামী, দুই কন্যা ঈশা ও অহনার ভালোবাসার বাবা, বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি এবং সঙ্কটের সময় ভরসার স্থান। তিনি জানান, ধর্মেন্দ্র সবসময় পরিবারকে আন্তরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যে জড়িয়ে রাখতেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একজন জনমানুষ হিসেবে ধর্মেন্দ্রের প্রতিভা, জনপ্রিয়তার মাঝেও তার বিনয় এবং সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা তাকে কিংবদন্তিদের মধ্যে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। হেমা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে এই ক্ষতি আমার জন্য ভাষায় প্রকাশের বাইরে; এই শূন্যতা সারাজীবন বহন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বলিউডের কিংবদন্তি জুটি হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রের প্রেম এবং বৈবাহিক জীবন বহুবার আলোচনার বিষয় হয়েছে। ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে চার সন্তান-সানি, ববি, বিজেতা ও অজিতা দেওল। তবে সিনেমার কাজের সূত্রে হেমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হেমা ও ধর্মেন্দ্র ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন। এই বিয়ের সময় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে তাদের সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা- ঈশা ও অহনা।
দাম্পত্য জীবনে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে হেমা ও ধর্মেন্দ্র একে অপরের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং অটুট বন্ধন রাখেন। তারা একসঙ্গে ৪০টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘শোলে’, ‘নসীব’, ‘আলিবাবা অউর ৪০ চোর’, ‘ছোট্ট সি বাত’, ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ ইত্যাদি।
আরপি/এসএন