আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত তিলের প্রবেশ নিশ্চিত করতে জাপানের টোকিওতে একটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। জাপানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দুই বছর মেয়াদী (২০২৬-২৭) এই প্রকল্প প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের রাজবাড়ী এবং পাবনা জেলায় যৌথভাবে বাস্তবায়িত হবে।
বৃ্হস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) টোকিওর জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউএনইউ) ‘বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য তিলের মূল্য শৃঙ্খল শক্তিশালীকরণ’ -শীর্ষক এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয় (এমএএফএফ), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এবং ইয়ুগ্লেনা কোম্পানি কর্ত্ক যৌথভাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জাপানের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলীসহ টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাপানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো তিলের মান উন্নত করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত তিলের প্রবেশ নিশ্চিত করা। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি এবং জলবায়ু-সহনশীল প্রযুক্তি থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, যথাযথ খাদ্যমান এবং বাজার সংযোগ নিশ্চিতকরণ।
দুই বছর মেয়াদী (২০২৬-২৭) এই প্রকল্প প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের রাজবাড়ী এবং পাবনা জেলায় যৌথভাবে বাস্তবায়িত হবে।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে এই প্রকল্পকে বাংলাদেশের কৃষি রপ্তানির ভিত্তি সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি সময়োপযোগী এবং কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের তিল খাতকে একটি উচ্চমূল্যের রপ্তানি শিল্পে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে এ প্রকল্পের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আশা করেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের গ্রামীণ কৃষকদের সহায়তা করবে, আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি করবে এবং দেশের রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এবি/টিকে