পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া শুরু না হলে ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছেন আমানতকারীরা।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নতুন হতে যাওয়া সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা আসে। তারা জানান, মাসের পর মাস জমানো টাকা না পেয়ে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন তারা।
সায়মা আহমেদ দশ বছর ব্যাংকে টাকা রেখে এখন বিপাকে। আসছে জানুয়ারিতে ছোট মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তি করানোর কথা। পড়াশোনার খরচের সঙ্গে ঘরের বয়স্ক মানুষটির চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পেরে আজ প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে।
সায়মা বলেন, ‘পরিশ্রম করে টাকা অর্জন করেছি। আমি কারো কাছ থেকে ভিক্ষা চাইনি। এটা আমার টাকা। কষ্ট করে টাকা জমিয়েছি।’
একই কাতারে দাঁড়িয়ে মোস্তফা কামাল। দেশের রেমিট্যান্স বাড়ানো এই যোদ্ধা বাড়ি ফিরে এখন অভাবগ্রস্ত।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর কষ্টার্জিত যে টাকা আমি ব্যাংকে রেখেছি, তা আমি তুলতে পারছি না। ব্যাংকে গেলে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে।’
মানবন্ধনে সম্মেলিত ইসলামী ব্যাংকের অধীনে আসা পাঁচ ব্যাংকের ভুক্তোভোগীরা নিজেদের অসহায়ত্বরে কথা জানান। শিক্ষা স্বাস্থ্যের ন্যুনতম অধিকার বঞ্চিত। সঙ্গে নিজের জমানো টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকে প্রতিনিয়ত অপমানিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। ফলে এবার আস্থা ফেরাতে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থ ফেরত দেয়ার দাবি গ্রাহকদের।
গত ৯ নভেম্বর পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় ব্যাংক গঠনের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরপি/টিকে