রাঁচির শান্ত সকালে যেন নতুন প্রাণ নিয়ে হাজির হন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বয়স তাঁর এখন চুয়াল্লিশের ঘরে, কিন্তু সেই বয়সের ছাপ একফোঁটাও নেই শরীরে। বরং তাঁকে দেখলে মনে হয় যেন সময় থেমে আছে তাঁর ফিটনেসের সামনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর অর্ধ যুগ পেরিয়ে গেলেও ধোনির মন এখনও মাঠমুখী, তাঁর শরীর এখনও খেলার জন্য তৃষ্ণার্ত।
ঝাড়খন্ড স্টেট ক্রিকেটের যুগ্ম সচিব ও ধোনির প্রাক্তন সতীর্থ শাহাবাজ নাদিমই জানালেন সেই অদেখা অধ্যায়ের কথা। নাদিম বলেন, আইপিএল শেষ হওয়ার পরদিনই অনুশীলনে ফিরেছিলেন ধোনি। যেন খেলা তাঁর কাছে নিছক পেশা নয়, বরং একধরনের দায়িত্ববোধ, নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এক শান্ত লড়াই।
রাঁচিতে থাকলে প্রতিদিন দু থেকে তিন ঘণ্টা জিমে কাটান তিনি। তারপর স্টেডিয়ামের সামনে টেনিস কোর্টে দৌড়ঝাঁপ। বয়সকে ভুলিয়ে দেওয়ার এই মিশনে তাঁর শৃঙ্খলা আর ইচ্ছে শক্তিই সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা। নাদিম বললেন, ধোনির ভিতরের ক্ষুধাই তাঁকে আলাদা করে তোলে ক্রিকেটের প্রতি সেই টান, সেই নিবেদন এখনো অটুট।
আইপিএল খেলবেন কি না এ নিয়ে দেশজুড়ে যখন আলোচনা, তখন ধোনি নিঃশব্দেই নিজেকে প্রস্তুত করে যাচ্ছিলেন। মাঠে ফেরার আড়ালেই গড়ে উঠছিল তাঁর নতুন গল্প। হাঁটুর চোট, অপারেশন কিছুই তাঁকে থামাতে পারেনি। নাদিমের বিশ্বাস, ধোনি চাইলে আরও কয়েক বছর খেলতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ঝাড়খন্ড ক্রিকেট উন্নয়নে নিজে পরামর্শ দিচ্ছেন, তৈরি হচ্ছে বিশেষ পুনর্বাসন কেন্দ্র।
বয়সের সঙ্গে লড়াই করা কোনো তারকার গল্প নয় এটি, বরং এক যোদ্ধার অবিচল পথচলার কাহিনি। ধোনি যেন প্রমাণ করে দিলেন স্বপ্ন আর শৃঙ্খলা থাকলে বয়স কখনোই বাধা নয়।
আরপি/টিকে