ঘুমের যত ব্যাধি

আমাদের দেহের সুস্থতা ও নানা প্রকার জৈবিক প্রক্রিয়ার স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ঘুমের অভাবে নানা দুরারোগ্য ব্যাধির ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। তাই একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন সাত থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানো প্রয়োজন।

কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাদের রাতে ঘুমোতে নানা রকম সমস্যা হয়। অনেকে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরেও মাঝে মধ্যে জেগে ওঠেন। অর্থাৎ ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও তারা প্রয়োজনীয় সময় ধরে ঘুমাতে পারেন না। এর জন্যে বিভিন্ন ঘুমের ব্যাধি দায়ী।

অনেকেই মনে করেন অনিদ্রা হলো একমাত্র ঘুমের ব্যাধি। তবে এছাড়া আরও বেশ কিছু ব্যাধি রয়েছে যেগুলো আমাদের ঘুমকে প্রভাবিত করে।

আসুন ঘুমের ব্যাধিগুলি সম্পর্কে জেনে নিই-

নিদ্রাকালীন শ্বাসকষ্ট
এটি ঘুমের একটি মারাত্মক ব্যাধি, যেখানে বারবার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং আবার চলতে শুরু করে। এই ব্যাধি থাকলে নিদ্রাকালীন রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, ফলে আমাদের দেহ আমাদেরকে জাগিয়ে তোলে, যাতে আমরা শ্বাস নিতে পারি। জোরে নাক ডাকা, ঘুমের সময় বাতাসের জন্য হাঁফানো বা শুকনো মুখ দিয়ে জেগে ওঠা প্রভৃতি এ রোগের সাধারণ লক্ষণ।

বোবায় ধরা (ঘুমের পক্ষাঘাত) বা স্লিপিং প্যারালাইসিস
এটি ঘুম থেকে জেগে ওঠা এবং ঘুমানোর সময়ের মধ্যে যে কোনো সময় নড়াচড়া করতে বা কথা বলতে না পারার সাময়িক অক্ষমতাকে বোঝায়। অর্থাৎ এই সময় মানুষ সাময়িকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা প্যারালাইসিড হয়ে যায়। ঘুমের পক্ষাঘাতে আক্রান্ত লোকদের মধ্যে প্রায় সময় হ্যালুসিনেট বা অতিকল্পনার ঝোঁক থাকে। গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রায় ৭.৬ শতাংশ লোক তাদের জীবনে কমপক্ষে একবার ঘুমের পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন।

পায়ের অস্থিরতা
এটি একটি স্নায়বিক ব্যাধি, যার ফলে আপনি অনবরত আপনার পা নাড়ানোর ইচ্ছা বোধ করবেন। দেখা যাবে, আপনি শুয়ে শুয়ে পা নাড়াতে থাকবেন। এই অবস্থার কারণে ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে বা এটি ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে।

নিদ্রাহীনতা
এটি ঘুমের ব্যাধির খুব সাধারণ একটি রূপ। নিদ্রাহীনতা মূলত যখন বা যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমোতে পারার অক্ষমতার বিষয়টি বোঝায়। অনিদ্রা রয়েছে এমন লোকেরা দিনের বেলা ঘুম অনুভব করে এবং দুর্বলতা, খিটখিটে মেজাজ ও হতাশায় ভুগে থাকেন।

সার্কাডিয়ান রিদম ডিজঅর্ডার
আপনার দেহ ঘড়ির সঙ্গে বাহ্যিক সময়ের সামঞ্জস্যের ব্যতিক্রম ঘটলে এটি দেখা দেয়। সাধারণত নাইট শিফটে কাজ করলে, জেট ল্যাগ বা অনিয়মিত ঘুম চক্র থাকার কারণে হতে পারে। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

নিদ্রাহীনতা দূর করার উপায়

 

টাইমস/এনজে/জিএস 

Share this news on: