বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিলাম পদ্ধতি প্রত্যাবর্তনের দিনে বেশ কিছু চমক দেখা গেছে। সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। তার সঙ্গে ‘এ’ ক্যাটাগরির আরেক ক্রিকেটার লিটন দাস পেয়েছেন ৭৫ লাখ টাকা। ওই মূল্যে রংপুর রাইডার্স তাকে পেয়ে নিজেদের সৌভাগ্যবানই ভাবার কথা। অথচ বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের চেয়ে বেশি দামেও দল পাওয়ার নজির দেখা গেছে।
অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষককে তুলনামূলক কম দামে দলে ভেড়ানোকে বাড়তি পাওয়া বলছেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। নিলাম শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সোহান বলছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডারের অনেক দায়িত্ব থাকে। আমাদের টপ অর্ডার অনেক হেভি। আমরা খুশি। লিটনকে ৭০ লাখে পাব এটা আশা করিনি।’
জাতীয় দলের অধিনায়ক লিটনকে পেয়ে রংপুর রাইডার্সকে নিয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে সোহান, ‘লিটন এখন যে ধরনের ক্রিকেট খেলছে, তাতে ওর হাত ধরে রংপুর আরও এগিয়ে যাবে। লিটনকে ৭০ লাখে পাওয়াটা বাড়তি পাওয়া। তবে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা ছিল।’ প্রসঙ্গত, হৃদয়কে ৯২ লাখ টাকায় কিনেছে রংপুর।
যদিও নিলাম থেকে রংপুরের সেরা ক্রিকেটার কে বা কাকে বেশি মূল্যবান ভাবছেন প্রশ্নে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে গ্লোবার সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন করা সোহান বলেন, ‘দলে ১৪ বা ১৫ জন যেই থাকুক না কেন– প্রতিটি খেলোয়াড়ই আমার কাছে সমান মূল্যবান। আর একটি দল হিসেবে খেলতে গেলে আমার বিশ্বাস– প্রতিটি খেলোয়াড়কেই সমানভাবে মূল্যায়ন করা উচিত।’
দেশি ক্রিকেটার নির্ভর স্কোয়াড গড়তে পেরে খুশি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার, ‘প্রতিবছরই যেমন হয়, আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর বেশ নির্ভর করে থাকি। কিন্তু তারা যেহেতু আসা–যাওয়ার মধ্যে থাকে, তাই দলে সমন্বয়ের একটা ঘাটতি তৈরি হয়। সেই জায়গা পূরণ করার লক্ষ্যেই আমরা চেয়েছি সাত-আটজন স্থানীয় খেলোয়াড় মাঠে নামবে, তারা যেন জাতীয় দল-ধাঁচেরই থাকে। আর স্থানীয়দের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই আমরা যেন সবচেয়ে ভালো দলটা করতে পারি– এটাই ছিল মূল লক্ষ্য।’
এবি/টিকে