সম্প্রতি বাংলাদেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কাঠামোতে কোনো ধরনের ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি (ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট) হয়নি।
মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ নিশ্চিত করেছেন যে, যাত্রীদের নিরাপত্তাই তাদের প্রধান অগ্রাধিকার এবং মেট্রোরেল সম্পূর্ণ নিরাপদ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মো. ফারুক আহমেদ এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যেকোনো ইনসিডেন্ট ঘটলে সবার আগে পাবলিককে ডিসকানেক্ট করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভূমিকম্পের পরে প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে মেট্রোরেলের সমস্ত স্ট্রাকচার ফিজিক্যালি চেক করা হয়েছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি জানান, ঘটনার দিন পাবলিক সার্ভিস শুরুর আগে স্বাভাবিকভাবে একটি ট্রেন টেস্ট রান চালানোর পরিবর্তে তারা দুটি ট্রেন দুই দিক থেকে চালিয়েছেন। এ ছাড়া, ফার্মগেট ও বিজয় সরণি এলাকায় বিয়ারিং প্যাডগুলোও ফিজিক্যালি পরীক্ষা করা হয়। এই নিবিড় চেকিংয়ের কারণে ট্রেন চালাতে ২৭ মিনিট দেরি হয়েছিল।
ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া ‘মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে’ এমন গুজবের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক আহমেদ বলেন, এটা যে এআই প্রডিউসড কন্টেন্ট কিনা, তা নির্ধারণে সময় প্রয়োজন। তবে পুরোটা পরীক্ষা করে দেখা গেছে কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র একটি দেয়ালে সামান্য ফাটল, দুটি টাইলস পড়া এবং সিলিং থেকে দুটি সিলিং প্যাড খুলে যাওয়ার মতো সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে বলেন, তার বাসার দেয়ালও ফেটেছে। এখন এই দেয়াল কেন ফেটেছে সেটা তো আমি বলতে পারব না।
উল্লেখ্য, গত ২১ ও ২২ নভেম্বর বাংলাদেশে দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। পাঁচ দিনের মাথায় ২৭ নভেম্বর বিকেলে ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প (৩.৬ মাত্রা) অনুভূত হয়েছিল, যার উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর ঘোড়াশাল।
এমকে/এসএন