আইএলটি-২০তে দুবাই ক্যাপিটালসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে গালফ জায়ান্টস। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬০ রান সংগ্রহ করে দুবাই। জবাবে মুস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ের পরও পাথুম নিসাঙ্কার ঝড়ো ৬৭ রানে ভর করে জয় পায় গালফ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গালফ জায়ান্টস। দুবাই ক্যাপিটালসের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন সেদিকুল্লাহ আতাল ও ডেভিড উইলি। দুইটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন আতাল। উইলির ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
এরপর গুলবাদিন নাইব, রভম্যান পাওয়েল ব্যর্থ হলেও জর্ডান কক্স ও দাসুন শানাকা ঝড় তোলেন। দুইজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ ফিনিশিং পায় দুবাই। ১৭ বলে ৩১ রান করেন কক্স। কক্সের আউটের পর শানাকা ও নিশাম ১২ বলে ২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। মাত্র ৯ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শানাকা। নিশাম খেলেন অপরাজিত ১৬ রানের কার্যকরী ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রান সংগ্রহ করে দুবাই ক্যাপিটালস।
রান তাড়া করতে নেমে গালফকে দারুণ শুরু এনে দেন পাথুম নিসাঙ্কা। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান মুস্তাফিজ। সাজঘরে ফেরান রহমানুল্লাহ গুরবাজকে। পরবর্তীতে অবশ্য এই ওভারেই একটি করে চার ও ছক্কা হজম করেন এই পেসার। দারুণ ব্যাটিংয়ে একের পর এক বাউন্ডারি আদায় করেন নিসাঙ্কা।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে ১০ রান দেন মুস্তাফিজ। উইকেটের সুযোগ তৈরি করলেও ক্যাচ হাতছাড়া করায় বঞ্চিত হয়েছেন এই পেসার। পাওয়ার প্লের পরও দারুণ ছন্দে এগিয়েছেন নিসাঙ্কা। দেখা পেয়েছেন ফিফটির। জেমস ভিন্সের সাথে গড়েছেন ৯৭ রানের জুটি।
১২তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলেই ফেরান দুর্দান্ত ইনিংস খেলা পাথুম নিসাঙ্কাকে। ৩১ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন নিসাঙ্কা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এই ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করেন তিনি। এরপর জোড়া আঘাত করেন দাসুন শানাকা।
১৬তম ওভারে নিজের শেষ ওভারেও দারুণ ছিলেন মুস্তাফিজ। মাত্র চার রান দেন তিনি। সবমিলিয়ে আইএলটি-২০ অভিষেকে চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন কাটার মাস্টার। বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দুইট ক্যাচ তালুবন্দী করেন মুস্তাফিজ।
তবে শেষ পর্যন্ত ৭ বল বাকি থাকতেই জয় পায় গালফ জায়ান্টস।
টিজে/টিকে