সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেছেন, ইসরায়েল যদি ১৯৭৪ সালের ডিসএনগেজমেন্ট চুক্তি পরিবর্তন করার চেষ্টা করে বা প্রস্তাবিত বাফার জোনসহ অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবে তা অঞ্চলটিকে একটি বিপজ্জনক জায়গাতে পরিণত করবে।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) দোহা ফোরামে ভাষণ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শারা বলেন, ইসরায়েল তার সংকট অন্য দেশে রপ্তানি করতে চায় এবং গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের জন্য দায় এড়াতে চেষ্টা করছে। তিনি অভিযোগ করেন, নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে ইসরায়েল সব কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিচ্ছে, অথচ সিরিয়া মুক্তির পর থেকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক বার্তা প্রেরণ করছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গোলান হাইটসের যুদ্ধবিরতি রেখা সংক্রান্ত ১৯৭৪ সালের চুক্তি ইসরায়েলের জন্য কঠোরভাবে মানা বাধ্যতামূলক। শারা বাফার জোন প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, ‘সিরিয়ার সেনারা উপস্থিত না থাকলে কে এই এলাকা রক্ষা করবে?’
শারা আরও জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণে আলোচনা চলছে এবং সব দেশই দামাস্কাসের ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের আগে রেখায় ইসরায়েলকে প্রত্যাহারের দাবিকে সমর্থন করছে।
প্রেসিডেন্ট শারা বলেন, সিরিয়া বহু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছে এবং সংকট রপ্তানি করা অঞ্চল থেকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর জারি করা ‘সিজার আইন’ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি