কয়েক বছর ধরে চলা দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ক্ষমা পেলেও রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
স্থানীয় সময় রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুর্নীতির মামলায় ক্ষমা পেলে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘না’।
দুর্নীতির মামলায় ক্ষমা চেয়ে গত মাসের শেষের দিকে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।তার আইনজীবীরা ক্ষমা চাওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বারবার আদালতে হাজিরা দেয়া সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দিচ্ছে। এছাড়া এই ক্ষমা ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্য কল্যান হবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
ইসরাইলে সাধারণত আইনি প্রক্রিয়া শেষ এবং অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার পরই প্রেসিডেন্ট চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। বিচার চলাকালে আসামিকে ক্ষমা করার কোনো নজির নেই।
৭৬ বছর বয়সি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের তিনটি মামলায় বিচারাধীন। তিনি অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি আইনি প্রক্রিয়া শেষে হলে তিনি খালাস পাবেন বলেও জানিয়েছেন।
গত অক্টোবরেন শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বিবেচনার জন্য ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি লিখেছিলেন।
ইসরাইলের কিছু বিরোধী রাজনীতিবিদ বলছেন, যেকোনো ক্ষমা শর্তসাপেক্ষে হওয়া উচিত। ক্ষমা পাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া এবং দোষ স্বীকার করতে হবে।
আবার কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীকে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে ইসরাইলের জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এমআর/টিকে