নির্বাচনের সময় তসবিহ হাতে ঘোরা ব্যক্তিরাই ধর্মকে রাজনৈতিক ব্যবসার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসে আট দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে না। আমরা ধর্মকে ব্যবসার উপায় হিসেবে দেখি না।
নির্বাচনের সময় এলে যারা মাথায় টুপি পরে, হাতে তসবিহ নিয়ে ঘোরে তারাই ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে।’
নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন পেছানো কাম্য নয়। কোনো কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট না হলে দেশ গভীর সংকটে পড়তে পারে। আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে জামায়াত বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এমনকি ২০০ আসন পেলেও সিদ্ধান্ত একই থাকবে।
গতকাল সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইইউ দূতাবাসে সৌজন্য বৈঠক করেন। প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, ফ্রান্সের উপ-রাষ্ট্রদূত ফ্রেদেরিক ইনজা, নেদারল্যান্ডসের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইস উডস্ট্রা, ইইউর উপ-রাষ্ট্রদূত গং বেইবা জেরিনা এবং ইইউ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি সেবাস্টিয়ান রাইগার ব্রাউন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরো অর্থবহ করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরো জোরদার হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া গতকালই ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনেইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর বসুন্ধরার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট সেক্রেটারি রোজাইমি আব্দুল্লাহ। অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অগ্রগতি ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এবি/টিকে