আক্রমণে আধিপত্য দেখালেও লামিন ইয়ামাল, রবার্ট লেভানদোভস্কি কিংবা রাফিনিয়ারা জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। উল্টো গোল হজম করে পিছিয়ে ছিল তারা। সেখান থেকে ত্রাণকর্তা হয়ে উদ্ধার করলেন ডিফেন্ডার জুলেস কুন্দে। ৪৯ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা দলকে মাত্র চার মিনিটের ঝলকে লিড এনে দিয়ে উপহার দিলেন জয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-১ ব্যবধানে হারালো বার্সেলোনা। জোড়া গোল করে কাতালানদের জয়ের নায়ক কুন্দে। ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে একটি গোল করেন আন্সগার নাউফ।
ক্যাম্প ন্যুতে তিন বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় বার্সা। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে ফ্রাঙ্কফুর্টের রক্ষণভাগকে। প্রতি আক্রমণে সুযোগ খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করে সফরকারীরা। এর মধ্যে ২১তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে কাতালান সমর্থকদের চুপ করিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতে জার্মান ক্লাবটি। নাথানিয়েলের পাস দখলে নিয়ে বক্সে ঢুকে ফ্রাঙ্কফুর্টকে লিড এনে দেন নাউফ। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে আরও ধার বাড়ায় স্বাগতিকরা। তবে সুযোগ করে উঠতে পারছিল না ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা। প্রথমার্ধ শেষ করে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই।
বিরতির পর তাদের সব হতাশা দূর করে দেন কুন্দে। প্রথমে মার্কাস রাশফোর্ড, পরে ইয়ামালের অ্যাসিস্ট থেকে হেডে দারুণ দুটি গোল করে মাত্র চার মিনিটের মধ্যে পিছিয়ে পড়া দলকে লিড এনে দেন এ ফরাসি ডিফেন্ডার। ৫০তম মিনিটে রাশফোর্ডের ক্রস ছয় গজ দূরত্বে অরক্ষিত থেকে নিঁখুত হেডে জালে জড়ান কুন্দে। তিন মিনিট পর ইয়ামালের ক্রস প্রায় একই জায়গায় পেয়ে আরেকটি নিঁখুত হেডে ঠিকানায় পাঠান এ ফরাসি।
পুরো ম্যাচে ৭৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা বার্সা ১৬টি শট নিয়ে ৮টি লক্ষ্যে রাখলেও অবশ্য আর কোনো গোলের দেখা পায়নি। অন্যদিকে ৬ শটের ৪টি লক্ষ্য বরাবর রাখলেও ম্যাচে ফিরতে ব্যর্থ হয় ফ্রাঙ্কফুর্ট। অবশ্য তাদের একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। তাতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
৬ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। সমান ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের মধ্যে ৩০তম স্থানে ফ্রাঙ্কফুর্ট।
এমআর