অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্ট হেরে কোণঠাসা ইংল্যান্ডের সামনে এখন কঠিন বাস্তবতা সিরিজে ফেরার পথ প্রায় বন্ধ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা ১৭টি টেস্ট না জেতার হতাশা আরও ভারী করে তুলেছে পরিস্থিতি। পরিসংখ্যান বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া দল ১৬ বারই বড় ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। ইংল্যান্ড ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে মাত্র একবার ১৯৯৪-৯৫ সালে।
এবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা, ধস নামা লোয়ার অর্ডার আর ভয়ংকর ইকোনমিতে বোলিং সব মিলিয়ে স্টোকসের দলকে তাড়া করছে অতীত। দুই টেস্টে প্রতি উইকেটে ইংল্যান্ডের রান মাত্র ২২.৭, যা ২০২১-২২ এবং ২০১৭-১৮ সিরিজের ব্যর্থতারই পুনরাবৃত্তি। লোয়ার অর্ডারের অবস্থা আরও করুণ অষ্টম থেকে দশম উইকেট মিলিয়ে ২৭.৫ ওভারও টিকতে পারেনি দলটি।
তবে সামান্য কিছু আশার আলোও আছে। এবার প্রথম দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশি স্পিন উইকেট ইংল্যান্ড নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় গত তিনবার এমন হলে সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ডই। ব্রিসবেনে স্টোকস-জ্যাকসের ৯৬ রানের জুটি আবারও সেই স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে।
অতীত ইতিহাস যদিও অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ব্যর্থতার কথাই মনে করিয়ে দেয়, তবু সামান্য পরিসংখ্যান ও কিছু ক্ষীণ আলোর রেখায় ইংল্যান্ড ধরে আছে শেষ আশার সুতোটাই। এখন দেখার, স্টোকসরা ইতিহাস বদলাতে পারেন, নাকি আবারও ঢলে পড়ে অস্ট্রেলিয়ান সামারের ভারে।