রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাজুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার দেওয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনি সামান্য আহত হন। সাজুকে উদ্ধার করার সময় ধাক্কাধাক্কিতে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান কাটাখালি থানার ওসি মুমন কাদেরী।
নাহিদুল ইসলাম সাজু রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন; যদিও এই আসনে এখনও দলটির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে কয়েকজন যুবক কাটাখালি বাজারে ব্যবসায়ী শিমুলকে মারধর করে। এ সময় তারা শিমুলের দোকানও ভাঙচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এনসিপি নেতা সাজুর বাবা কাটাখালি বাজার কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
খবর পেয়ে সাজু পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিহাব ও মামুন নামের দুজনের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে যায়। উদ্ধার করতে গিয়ে মতিহার জোনের এসি সোহেল রানা, ওসি (কাটাখালি) সুমন কাদরী ও ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার আহত হন।
নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, আমার বাবা কাটাখালি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে গিয়েছিলাম। অস্ত্রধারীরা আমার ওপর হামলা করে। পুলিশ যখন আমাকে উদ্ধার করছিল, তখন তারা দুই রাউন্ড গুলিও ছোড়ে।
তিনি আরও জানান, এর আগে ৮ ডিসেম্বর একই এলাকায় তাকে মাইক্রোবাসের চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে ঘটনায় থানায় মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আজকের ঘটনাতেও তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মতিহার জোনের এসি সোহেল রানা বলেন, ওসি কাটাখালি ও ওসি (তদন্ত) প্রদীপ কুমার ছানাসহ আমি আহত হয়েছি।
এমআর/টিএ