নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সহিংসতার আশঙ্কা ঘনিভূত হচ্ছে : জিল্লুর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন নিয়ে সংশয়, অনিশ্চয়তা ও অবিশ্বাসের আবহে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এক ধরনের কাঠামোগত নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কাগজে কলমে নির্বাচনী রেল চলা আর মাঠের বাস্তবতা কি এক জিনিস? গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনা প্রভাব দেখাচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সহিংসতার আশঙ্কা ঘনিভূত হচ্ছে।’

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে জিল্লুর এসব কথা বলেন।

জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে একজন রাজনৈতিক কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়া, এর আগে চট্টগ্রাম ও পাবনায় নির্বাচনে জনসংযোগ ঘিরে হামলা-এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। এগুলো একটি বড় বার্তার ইঙ্গিত দেয়। কেউ কেউ চায় এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। আতঙ্ক ছড়াক, মাঠ অস্থির থাকুক।

ভয়ের রাজনীতি বরাবরই বাংলাদেশের ক্ষমতার লড়াইয়ে ব্যবহৃত একটি কার্যকর হাতিয়ার। আর এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।’ 

জিল্লুর বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর ডিসেম্বরের এক সকালে ঢাকার আকাশে নামার কথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয়।

এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির সবচেয়ে প্রতীকী ও আবেগময় মুহূর্তগুলোর একটি। একদিকে দীর্ঘ নির্বাচনের অবসান। অন্যদিকে একটি অনিশ্চিত ও উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচনী যাত্রার সূচনা। এই দুই বাস্তবতা একসঙ্গে এসে দাঁড়িয়েছে ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে।’ 

জিল্লুর আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেষ্টা করছে এই প্রত্যাবর্তনকে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের বদলে জনতার স্বাভাবিক আবেগের প্রকাশ হিসেবে উপস্থাপন করতে।

দলীয় ভাষ্যে বলা হচ্ছে কোনো আয়োজন নেই, কোনো শোডাউন নেই, মানুষই আসবে। কিন্তু বাস্তবে রাজনীতিতে প্রতীক ও সময় কখনো নিরপেক্ষ থাকে না। ১৭ বছর পর একটা বড় দলের কার্যত শীর্ষ নেতার দেশে ফেরা স্বাভাবিকভাবেই একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা, নেতৃত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচনের আগে দলের ভেতরে ও বাইরে মনোবল সঞ্চার।’

টিজে/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আনিস আলমগীর-শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের Dec 15, 2025
img
মেসিকে পাওয়া পুরো ভারতের জন্য স্মরণীয় এক মুহূর্ত: শচীন Dec 15, 2025
img
বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ Dec 15, 2025
img
মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও হারল দুবাই Dec 15, 2025
img
দেশের ক্রান্তিকাল কাটাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরার আহ্বান সালামের Dec 15, 2025
img
সুপ্রিম কোর্টের এজলাস কক্ষে ‘অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির’ প্রবেশ নিষিদ্ধ Dec 15, 2025
img
জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর দিতে পারেননি আনিস আলমগীর, রাতে থাকতে হচ্ছে ডিবিতে Dec 15, 2025
img
সৌদিতে এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার, ফেরত পাঠানো হলো ১২,৩৬৫ জনকে Dec 15, 2025
img
বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, চবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ছাত্রদলের Dec 15, 2025
img
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সকল অপশক্তি পরাস্ত হবে : ইশরাক Dec 15, 2025
img
বৈজ্ঞানিকভাবে মাছ চাষ খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Dec 15, 2025
img
সিলেটে আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Dec 15, 2025
img
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ গেল যুবকের Dec 15, 2025
img
আমরা ভালো করেই জানি কারা বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়েছিল: মির্জা ফখরুল Dec 15, 2025
img
তারেক রহমান লন্ডনে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ১৬ ডিসেম্বর Dec 15, 2025
img
নাশকতা মামলায় যমুনা অয়েলের সিবিএ নেতা কারাগারে Dec 15, 2025
img
কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Dec 15, 2025
img
পেশাজীবীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইলেন তারেক রহমান Dec 15, 2025
img
ওমরাহ করানোর প্রলোভন দেখিয়ে ভোট চাচ্ছেন জামায়াত প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল Dec 15, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে হামলায় প্রাণ গেল ১২ জনের, হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ Dec 15, 2025