ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির লড়াই ছিল গড়ার, পুড়িয়ে ফেলার নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘হাদির লড়াই ছিল রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান গড়ার লড়াই, কোনো কিছু পুড়িয়ে ফেলার নয়। এই কারণেই তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে মানুষের কথা বলতে চেয়েছিলেন।
মানুষের ন্যায়সঙ্গত ক্ষোভ ও আবেগকে ধ্বংসাত্মক পথে প্রবাহিত করার চেষ্টা আমরা দেখছি। বিচার চাওয়ার নামে যে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা সংগঠিত করা হচ্ছে, তা দেশকে চূড়ান্ত অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি কেবল তাদেরকেই শক্তিশালী করবে, যারা গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় না।
হাদির হত্যাকারী ও পলাতক স্বৈরাচারকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, এবং তা নিশ্চিত করতে হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই দাবিতে সরকারকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।
আমাদের দায়িত্ব হলো এই গণক্ষোভকে একটি যুক্তিসংগত, দায়িত্বশীল ও কল্যাণকর রাজনৈতিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। হঠকারী ও সহিংস পথ হাদির স্বপ্নের রাষ্ট্র গঠনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরীফ ওসমান হাদি ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে আহত হন।
গুলিটি তার মাথায় লাগে। ঢাকা এবং পরে সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা এখন উত্তাল হয়ে ওঠে। রাতেই শাহবাগে জমায়েত হয় ছাত্র-জনতা ও রাজনীতিবিদরা।
এর মধ্যেই একদল লোক মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মাঝামাঝি সময়ে ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়।
পিএ/টিএ