কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

ভারতের দুই অঙ্গরাজ্যের রাজধানী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা এবং ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় দুটি সংগঠন। 

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তাদের সুরক্ষার দাবিতে, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ভারতীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে কলকাতার বেগ বাগান ও পার্ক সার্কাস সাত রাস্তার মোড়ে জড়ো হয় 'বাংলাপক্ষ' নামে একটি সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। পরে, বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের দিকে মিছিল নিয়ে গেলে তাদের আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ।  

এ সময়, সংগঠনটির সদস্যরা দাবি জানান, যেভাবে ৭১ সালে বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল ভারত, সেভাবেই বাংলাদেশের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবারও হস্তক্ষেপ করতে হবে। 

এর আগে, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ত্রিপরা মোথা-র যুব শাখা ইয়ুথ ত্রিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)।

এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এবং ময়মনসিংহে এক সংখ্যালঘুকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে, এদিন দুপুরে সংগঠনটির কয়েকশ নেতাকর্মী হাইকমিশনের দিকে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।

পরে, এক সমাবেশে বক্তব্যে ইয়ুথ ত্রিপরা ফেডারেশন সভাপতি সুরজ দেববর্মা বলেন, এই বিক্ষোভ কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা নয়, বরং জনসাধারণের অনুভূতির প্রতিফলন। 

তিনি অভিযোগ করেন, হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনকে লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিসের সামনে থেকে আমরা একটি বার্তা পাঠাতে চাই। আমি তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশ কীভাবে তৈরি হয়েছিল। 

পরে, সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দেববর্মা আরও বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে যে সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলি আসছে তা গভীর উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নেতাদের দ্বারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের বিষয়ে করা মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিপজ্জনক। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা ও আগরতলায় পর পর বিক্ষোভ ও আন্দোলন যথেষ্ট হুমকির মুখে ফেলেছে দূতাবাসে কর্মরতদের। যদিও ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে দুই রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকার করেছেন।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভালোবাসা আর পরিবারই জীবনের আসল আশ্রয়: জাকির খান Dec 21, 2025
img
জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনকালীন’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুতিনের Dec 21, 2025
img
অনুভূতিতে নাড়া দিতে না পারলে, ভাল ছবি বলা যাবে না: শাশ্বত চ্যাটার্জি Dec 21, 2025
img
ঢাবির স্থগিত হওয়া বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর Dec 21, 2025
img
বাংলাদেশি হাইকমিশনারের মালদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ Dec 21, 2025
img
আতিফ আসলামের স্থগিত হওয়া কনসার্ট নিয়ে এলো সুখবর Dec 21, 2025
img
বেগুনি রঙের পোশাকে নজর কাড়লেন চিত্রনায়িকা বুবলী Dec 21, 2025
img
দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হুমকি Dec 21, 2025
img
ফিফার সেরা একাদশে রাফিনিয়া না থাকায় ক্ষুব্ধ ফ্লিক Dec 21, 2025
img
চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী বুইশ্যা আটক Dec 21, 2025
img
হাদির সমাধিস্থল নিয়ে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি বানোয়াট-উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : ডিএমপি Dec 21, 2025
img
বানারীপাড়ায় কেন্দ্রীয় আ. লীগ নেতা ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তার Dec 21, 2025
img
শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জকসুর শিবির প্যানেল Dec 21, 2025
img
টেস্টের ইতিহাসে প্রথমবার দুই ইনিংসেই জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড Dec 21, 2025
img
অ্যাভাটারে গান গেয়ে মাইলি সাইরাসের হাতে উঠছে আন্তর্জাতিক সম্মাননা Dec 21, 2025
img
৩ বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি Dec 21, 2025
img
৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা সময় গোলহীন ভিনিসিয়ুস Dec 21, 2025
img
সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে ৩ ডিগ্রি, বাড়বে শীতের তীব্রতা Dec 21, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৯ জনের টটেনহ্যামকে ২-১ গোলে হারাল লিভারপুল Dec 21, 2025
img
ছায়ানটে হামলার ঘটনায় সাড়ে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Dec 21, 2025