২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের সাড়ে আট বছর পর আরেকটি টুর্নামেন্ট ফাইনালে ভারতকে হারাল পাকিস্তান। এবারো জড়িয়ে সরফরাজের নাম। এশিয়া কাপে তার কোচিংয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ১৯১ রানে হারিয়ে ট্রফি জিতল পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ভারতকে কীভাবে হারাতে হয়, সেটা ভালোই জানা সরফরাজের। ২০০৬ সালে তার নেতৃত্বে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে জিতেছিল পাকিস্তান। ওই ভারতীয় দলে ছিলেন রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা, চেতেশ্বর পুজারা ও পিযুষ চাওলার মতো ক্রিকেটাররা।
সরফরাজ ভিন্ন ভূমিকাতে, তবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও সদ্য শেষ হওয়া যুব এশিয়া কাপের মাঝে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে শুরু থেকে পাকিস্তানের ওপেনার প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করেন। ২০১৭ সালে ফখর জামান, আর এবার সামির মিনহাস খেললেন ১৭২ রানের দারুণ ইনিংস।
সাড়ে আট বছর আগে ভারতের টপ অর্ডার ছিল নিঃসন্দেহে সেরা। কিন্তু মোহাম্মদ আমিরের নতুন বলের তোপে পড়ে বড় ধাক্কা খায় তারা। আর এবার আলী রাজা ভারতকে ভোগালেন। ওইবার বিরাট কোহলি ও রোহিতকে ফেরান আমির, রাজা ফেরালেন ভারতের যুব দলের অন্যতম সেরা আয়ুশ মাত্রে ও বৈভব সূর্যবংশীকে। টপ অর্ডারে ভাঙনের পর বড় স্কোর তাড়া করতে গিয়ে লাইনচ্যুত ভারত। আগেরবার মেন ইন ব্লুদের মাঠে থেকে হারানো সরফরাজ এবার ফাইনাল জিতে প্রমাণ করলেন- ভারতকে হারানোর কৌশল তার ভালোই জানা।
আরআই/টিএ