দেশে সাম্প্রতিক একের পর এক সহিংস ও অস্থির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধু দেশটির শিল্পীসমাজই নয়, গভীর উদ্বেগে রয়েছে ওপার বাংলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনও। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড, ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা এবং ঢাকার ধানমণ্ডিতে দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ ভবনে হামলা ও ভাঙচুর—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ ও আশঙ্কা ছড়িয়েছে দুই বাংলাতেই।
সম্প্রতি এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা করেছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, কোয়েল মল্লিক, নাট্যকার অবন্তী চক্রবর্তীর মতো বিশিষ্ট শিল্পীরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দেব।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে দেব শান্তির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি মানুষ যেন শান্তিতে থাকে—সে হিন্দু হোক, মুসলমান হোক কিংবা খ্রিস্টান। গোটা পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধ চলছে। দেশ বাঁচানোর নামে অর্ধেক টাকা অস্ত্র কিনতেই চলে যাচ্ছে।’
শুধু বাংলাদেশ নয়, সামগ্রিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিনেতা-সাংসদ।
তার কথায়, ‘মাঝে মাঝে সত্যিই ভয় লাগে। খবর দেখলে মনে হয় এখানেও যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে—ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তান বা ভারত-চীন। কিন্তু এই আতঙ্ক কখনোই কাম্য নয়।’
দেব আরো বলেন, ‘আসলে মানুষের চাহিদা খুব সামান্য—দুবেলার খাবার আর মাথার ওপর একটা ছাদ।
নিজের মানুষগুলোকে ভালো রাখা। তার জন্য অন্য মানুষকে মারার প্রয়োজন নেই। যদি এখনই এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ সময় আসতে পারে।’
সর্বশেষে ব্যক্তিগত ও সামাজিক শান্তির গুরুত্ব তুলে ধরে দেব বলেন, ‘সিনেমা চলুক বা না চলুক, আমরা সবাই যেন ভালো থাকি। শান্তিতেই বাঁচতে পারি—এই প্রার্থনাই করি।
দেবের এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বক্তব্য শুধু একজন শিল্পীর নয়—একজন সচেতন মানুষের, যিনি দুই বাংলার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এসএন