নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে বলিউড নির্মাতা ও প্রযোজক করণ জোহর। সাংবাদিক ও লেখিকা পূজা চাঙ্গোইওয়ালা তাঁর ২০২১ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘হোমবাউন্ড’ নকল করার অভিযোগে করণ জোহর ও আদর পুনাওয়ালার ধর্মা প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং নেটফ্লিক্স এন্টারটেইনমেন্ট সার্ভিসেস ইন্ডিয়া এলএলপি-এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন।
নীরজ ঘেওয়ান পরিচালিত এবং ঈশান খট্টর, জাহ্নবী কাপুর ও বিশাল জেঠওয়া অভিনীত একই নামের সিনেমাটি ঘিরেই এই অভিযোগ। শিগগিরই তিনি বম্বে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় এক সংবাদ সংস্থাকে পাঠানো ই-মেইলে পূজা জানান, আদালতে যাওয়ার আগে তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থাগুলিকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
ছবির নির্মাতাদের দাবি, কাহিনিটি সাংবাদিক বশারত পীর-এর ২০২০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
তবে পূজার বক্তব্য ভিন্ন। তাঁর দাবি, “আমার উপন্যাস এবং ছবিটির বিষয়বস্তু দুটিই ২০২০ সালের কোভিড-পরবর্তী সময়ে অভিবাসী শ্রমিকদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে নির্মিত।
”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ছবিটি দেখার পর বুঝতে পারি, প্রযোজকরা শুধু আমার বইয়ের শিরোনামই নেননি, ছবির দ্বিতীয়ার্ধে আমার উপন্যাসের বড় অংশ দৃশ্য, সংলাপ, বর্ণনার ভঙ্গি, ঘটনার ক্রম ও অন্যান্য সৃজনশীল উপাদান স্পষ্টভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।”
আইনি পদক্ষেপ হিসেবে পূজা স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাসহ একাধিক প্রতিকার চাইতে চলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ছবিটির বিতরণ বন্ধ, কথিত লঙ্ঘনকারী সব উপাদান অপসারণ, ছবির শিরোনাম পরিবর্তন এবং কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ।
এ বিষয়ে পূজা বলেন, “আমি জানি, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শক্তিশালী কর্পোরেট সংস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি।
কিন্তু লেখকদের কাজ যখন অনুমতি ছাড়া আত্মসাৎ ও শোষণ করা হয়, তখন নিজেদের সৃষ্টিকে রক্ষা করা জরুরি।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে ধর্মা প্রোডাকশনস মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। প্রযোজনা সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা আইনি পথে এই দাবির জবাব দিচ্ছি। এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।”
বলা দরকার, ‘হোমবাউন্ড’ চলতি বছরের মে মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়।
এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছবিটি এবং বর্তমানে এটি অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এমকে/টিএ