বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর প্রিয় মাতৃভূমিতে পা রাখবেন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের এই মাহেন্দ্রক্ষণকে ঘিরে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে ফেরার পরবর্তী দুই দিনের জন্য তারেক রহমানের বিস্তারিত কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার কাছাকাছি সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তারেক রহমান।
বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি যাবেন রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সংলগ্ন বিশাল জনসভাস্থলে। সেখানে কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
জনসভা শেষে তিনি সরাসরি চলে যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার মা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
মায়ের শয্যাপাশে কিছু সময় কাটিয়ে তিনি রাজধানীর গুলশান-২ এর ১৯৬ নম্বর বাসায় ফিরে বিশ্রাম নেবেন।
দলীয় ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে তিনি সরাসরি যাবেন চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থিত তার পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ ওয়ান-ইলাভেন খ্যাত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগার ও রিমান্ডে থাকাকালীন তার ওপর অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে, যার ফলে তার মেরুদণ্ড গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানা যায়।
প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দী থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি সপরিবারে লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। তখন থেকেই তারেক রহমান লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন।
পিএ/এসএন