জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও জটিলতা আমাদের মধ্যে সবাইকে দুর্বল ও হতাশ করে দেয় এমনটা নয়। প্রত্যেকেই এই আগুনে ভস্মীভূত হন এমনটাও নয়।
কিছু কিছু নারী জীবনের এই সংকটের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী আর বুদ্ধিমতী হয়ে ওঠেন, ডানা মেলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় স্থাপন করেন। রূপকথার ফিনিক্সের মতো তারা ছাই থেকে পুনর্জন্ম লাভ করেন। তারা এই দুঃসময় জয় করেন তাদের পূর্ববর্তী ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণের মধ্য দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেকে আরও দৃঢ়, বুদ্ধিমতী আর উন্নতর সংস্করণে পরিবর্তিত করেন।
এসব নারী দৃঢ় ও স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তারাই সে অনুপ্রেরণা, যা আমরা অনেকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। তাদের দৃঢ়তা আমাদের সাহস যোগায়। তাদের থেকে আমরা সামনে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা পাই। তারা এই কথাটির জলজ্যান্ত প্রমাণ যে, যদি নিজেকে বিশ্বাস করা যায় তাহলে সব সম্ভব।
আসুন এসব অনুপ্রেরণা দানকারী নারীদের ৭টি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা জেনে নিই
আত্মবিশ্বাস
এই ধরনের নারী ভালো করেই জানেন তারা আসলে কি এবং জীবন থেকে তারা কি চায়। তারা তাদের হৃদয়ের দিক নির্দেশনা মতো নিজেকে পরিচালনা করে, আর এভাবেই সঠিক পথে থাকে।
নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতনতা
এ জাতীয় নারীরা খুব ভালো করেই নিজেদের ক্ষমতা আর দুর্বলতার কথা জানেন। তারা নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন, একইসঙ্গে নিজের যোগ্যতা সম্পর্কেও সচেতন। এ কারণেই এরা কখনো তাদেরকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা হলেও বিচলিত হয় না। কারণ এরা জানে যে, সর্বগুণে গুণান্বিত না হলেও তারা অনন্য।
এরা বেদনাকে রক্ষাকবচে পরিণত করে
এই নারীরা জীবনের সংকট সমূহের কাছে নীরব আত্মসমর্পণ করেন না। বরং তারা তাদের ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজেকে আরও শক্ত-সামর্থ্য করে গড়ে তোলেন, দুঃখ-বেদনাকে নিজের রক্ষাকবচ বানিয়ে নেন।
তারা তাদের আবেগ নিয়ে লজ্জিত নয়
দৃঢ়চেতা নারীরা তাদের আবেগ নিয়ে ভীত বা লজ্জিত নন, তাই তারা তা ঢেকে বা লুকিয়ে রাখা নিয়ে চিন্তিত থাকেন না। কারণ মানুষ হিসেবে সবারই আবেগ রয়েছে। জীবন তাদেরকে যে পরিস্থিতিতেই ফেলুক না কেন, তারা জানেন যে উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা তাদের রয়েছে।
এরা লোকের মনোযোগের কেন্দ্র হতে চায় না, সম্মান চায়
এই মানুষগুলিকে আপনি অন্য কিছুর জন্য কান্নাকাটি করতে দেখবেন না, এদের কাছে সম্মানটা সব থেকে বড়। এরা নিজেদের প্রাপ্য সম্মান আর মর্যাদা পেতে চায়। এরা কখনো বলে বেড়ায় না যে কেন তাদেরকে সম্মান করা উচিৎ, কিন্তু যারা এদেরকে সম্মান দেখায় না তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখেন।
এরা ক্ষমাশীল
দৃঢ়চেতা মেয়েরা কোনো কিছু ধরে বসে থাকে না, বা প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনার জন্য ব্যয় করার মতো সময় নেই এদের। এসব মহৎ হৃদয়গুলি ক্ষমাশীলতায় পরিপূর্ণ। তারা নেতিবাচকতা নিয়ে ভেবে তাদের সময় নষ্ট করে না। বরং তারা ক্ষমা করে দেন, কারণ দিন শেষে আমরা সবাই ভুল করি।
এরা সত্যি কথা বলে, সেটা যতটা কর্কশ হোক না কেন
এদের হৃদয় বিশুদ্ধ উদ্দেশ্য দ্বারা পূর্ণ। তারা বিশ্বাস করে যে, সততাই সর্বোত্তম পন্থা। এজন্য এরা মিথ্যা বলে অন্যকে আনন্দ দানের পরিবর্তে কর্কশ সত্য প্রকাশ করে এবং এতে করে অনেকের হৃদয় ব্যথিত হয়। তথ্যসূত্র: দ্যা পাওয়ার অব সাইলেন্স।
টাইমস/এনজে/জিএস