চকলেটের কথা বলে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, কান্না করায় হত্যা!

চকলেট কিনে দেয়ার কথা বলে গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গণধর্ষণের একপর্যায়ে ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় ঘাতকরা তাকে গলাটিপে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৫ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। রোববার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানার রেল স্টেশন এলাকা থেকে ওই কিশোরকে আটক করা হয়। সে টঙ্গীর বেলতলা মসজিদ রোডের কাউছার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার বাবার নাম ওমর ফারুক।

র‌্যাব-১ এর গাজীপুরের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন সোমবার তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১৬ মে মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রেল গেইট এলাকার একটি ময়লার স্তুপ থেকে ওই ছাত্রী চাদনীকে উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের গলায় ও দুই পায়ে আঘাতের চিহ্নসহ ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এ বিষয়ে চাদনীর বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব মামলাটি ছায়া তদন্ত করে।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আটক ওই কিশোর চুরি, ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। সে এবং তার সহযোগীরা মিলে টঙ্গী রেল স্টেশন ও তার আশপাশ এলাকায় নিয়মিত চুরি ছিনতাই সংঘঠিত করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ১৫ মে বিকালে ভিকটিম চাদনী খেলার মাঠে খেলাধুলা করতে আসলে সে (ধৃত কিশোর) নিজে এবং তার এক পলাতক সহযোগী মিলে ভিকটিম চাদনীকে চোখে চোখে রাখে। একপর্যায়ে নিলয় তাকে কৃষ্ণচুড়া গাছ থেকে ফুল পেড়ে দেয়। ভিকটিম চাদনী বাসায় ফিরার পথে বৃষ্টি হওয়ায় আশেপাশে লোক সমাগম কম থাকায় সে ও তার সহযোগী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাদনীকে চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী টঙ্গীস্থ মধুমিতা রেল গেইট এলাকায় সজীবের ইটের স্তুপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে সে ও তার সহযোগী শিশু চাদনীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে চাদনী কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং ধর্ষণকারীরা ভাবে চাদনী বাড়ীতে গিয়ে সবাইকে সবকিছু বলে দিবে। এসময় পলাতক ধর্ষক ও আটককৃত কিশোর মিলে নির্মমভাবে চাদনীকে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা ভিকটিম চাদনীর মরদেহ ময়লার স্তুপে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মাত্র তিন মাসেই সফর শেষ জনপ্রিয় শো এসআইটি বেঙ্গলের Dec 21, 2025
img
হাতিয়ায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা Dec 21, 2025
img
জীবনের প্রথম পুরস্কার মাকে উৎসর্গ করতে চায় আরিয়ান Dec 21, 2025
img
ভারতীয় দূতাবাসে ‘ঘৃণা জানাতে’ যাত্রা শুরু করেছে রাশেদ প্রধান Dec 21, 2025
img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Dec 21, 2025
img
সালমান খানকে নিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী Dec 21, 2025
img
এবার রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন আর্লিং হলান্ড Dec 21, 2025
img
লালমনিরহাটে বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য আটক Dec 21, 2025
img
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ Dec 21, 2025
img
ওসমান হাদি হত্যা তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা নেয়ার আহ্বান গোলাম পরওয়ারের Dec 21, 2025
img
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জার : সালাহউদ্দিন Dec 21, 2025
img
মবোক্রেসি দেখতে চাই না, কঠোর হস্তে দমন করতে হবে: সালাহউদ্দিন Dec 21, 2025
img
সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পেছাল Dec 21, 2025
img
সাদা-হলুদ রঙের কাঠগোলাপের মায়ায় অভিনেত্রী মিম Dec 21, 2025
img
ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত দক্ষিণ কোরিয়ায় Dec 21, 2025
img
বিমান বাহিনী ও এএইউবির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই Dec 21, 2025
img
ময়মনসিংহের ঘটনায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার Dec 21, 2025
img
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে চেলসির বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র নিউক্যাসলের Dec 21, 2025
img
তারেক রহমান বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন : সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 21, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনার কবলে আনসার সদস্যদের বহনকারী বাস Dec 21, 2025