রোগাক্রান্ত কোষে ওষুধ পৌঁছে দেবে রোবট

বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে চিকিৎসা প্রযুক্তিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে নতুন বিপ্লব। এই বিপ্লবে সর্বশেষ সংযোজন হলো সুইস বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এক জীবন্ত অতি ক্ষুদ্র রোবট। যা কিনা মানবদেহের রক্তনালী দিয়ে চলাচল করতে পারবে এবং রোগাক্রান্ত কোষে ওষুধ পৌঁছে দেবে। সম্প্রতি বিখ্যাত ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি একটি নরম জৈব ডিভাইস, যা দেখতে অণুজীবের মত। এটি তরল পদার্থে কিলবিল করে এবং দ্রুত চলাচল করতে পারে।

গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক সেলম্যান সাকার বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, তাদের আবিষ্কৃত এই নমুনাগুলো দৈর্ঘ্যে প্রায় এক মিলিমিটার। তবে ‘অরিগ্যামি-বেইসড ফোল্ডিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে এর চেয়েও ক্ষুদ্র আকৃতির রোবট তৈরি করা যাবে। এই ক্ষুদ্রাকৃতির রোবট রক্তনালী ও অন্যান্য জটিল তন্ত্রে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। এমনকি এটা চলার সময় গতিবেগ, চলাচলের দিক কিংবা ধরণে কোনো পরিবর্তন না করেই কাজ করতে সক্ষম বলে জানান অধ্যাপক সাকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোবটগুলোর অঙ্গবিকৃতি কোনো সেন্সর বা নির্দেশক ছাড়াই এমনভাবে ডিজাইন করা যাবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী আকৃতি ধারণ করতে পারে। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই ডিভাইসটিকে ছেড়ে দেয়া যাবে, যা দেহের তরল প্রবাহের মাধ্যমে নিজেই সঠিক গন্তব্যের দিকে ছুটে যাবে।

গবেষণা দলের সহ-গবেষক অধ্যাপক ব্রাডলে নেলসন বলেন, প্রকৃতিতে এমন কিছু অণুজীব রয়েছে, যা তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে মিল রেখে নিজ আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। এই নীতি অনুসরণ করেই গবেষকরা ক্ষুদ্র আকৃতির রোবটগুলো তৈরি করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি একটি সাশ্রয়ী ডিভাইস। এখন এটাকে মানবদেহে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করতে গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টেস্ট প্রস্তুতির জন্য টি-টোয়েন্টি দল ছাড়লেন ট্রাভিস হেড ও কুলদিপ Nov 03, 2025
img
কে কি লিখছে, তাতে যায় আসে না : ভাবনা Nov 03, 2025
img
বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স আয়োজনের ঘোষণা বিসিবি সভাপতি বুলবুলের Nov 03, 2025
img
সিরিজ সেরা পুরস্কার বাবা-মাকে উৎসর্গ করলেন দীপ্তি শর্মা Nov 03, 2025
img
জেতার অভ্যাসটা নিয়মিত করতে হবে, বললেন ভারতের অধিনায়ক Nov 03, 2025
img
৪ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব দিয়েছে সরকার Nov 03, 2025
img
ব্যক্তিজীবনের আভাসে আলোচনায় পল্লবী শর্মা! Nov 03, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান নিয়মিতই পরিবর্তন করছে : জিল্লুর রহমান Nov 03, 2025
img
মালির রাজধানী বামাকো দখলের দ্বারপ্রান্তে ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী Nov 03, 2025
img
শুটিং সেটে শাহরুখকে মোটেই ‘বাবা’ বলে ডাকেন না আরিয়ান Nov 03, 2025
img
বিশ্বকাপ জিতে রেকর্ড প্রাইজমানি ভারতের, বাকিরা কত পেল? Nov 03, 2025
img
রাজধানীর আবহাওয়া শুষ্ক, বাড়বে গরমের অনুভূতি Nov 03, 2025
img
যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল Nov 03, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আজ Nov 03, 2025
img
ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা কঠিন নয়: সন্দীপ্তা সেন Nov 03, 2025
img
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে প্রাণ গেল ৭ জনের, আহত ১৫০ Nov 03, 2025
img
আজ জেলহত্যা দিবস Nov 03, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর লাহোর, ঢাকার অবস্থান ২৩তম Nov 03, 2025
img
৩ নভেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে কী ঘটেছিল Nov 03, 2025
img
হাবিবুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Nov 03, 2025