করোনা চলে গেলেও থাকছে মাথা ঝিমঝিম শ্বাসকষ্ট

করোনাভাইরাস চলে গেলেও রোগীর ওপর রেখে যাচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব। মাথা ঝিমঝিম ভাব, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা, অবসাদ ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাগুলো বেশ ভোগাচ্ছে। সুস্থতার পরও অনেকেরই সহজে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। সারা বিশ্বেই, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোয় এই সমস্যা বড় আকার ধারণ করেছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনায় আক্রান্ত হন ইতালির নাগরিক এমিলিয়ানো পেসকারোলো। তিনি পেশায় ডুবুরি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটির বন্দরনগরী জেনোয়ার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি হতে হয়। এরপর টানা ১৭ দিন কাটানোর পর এপ্রিলের ১০ তারিখ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

কিন্তু সুস্থ হওয়ার তিন মাস পরও এখন ৪২ বছর বয়সী এমিলিয়ানো তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পরও গত কয়েক সপ্তাহেও শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি দেখছি না। একটু হাঁটলেই বুক ধড়ফড় করে। মনে হয়, এভারেস্ট পর্বতে উঠছি। কথা বলতে গেলেও দম বন্ধ হয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত আমি। শুধু পেসকারোলো নন; তার মতো আরও অনেকেরই একই সমস্যা।

ব্রিটেনের নিউক্যাসলের বাসিন্দা ড্যানিয়েল গ্রিন (২৮)। পেশায় গবেষণা সহকারী। টেস্টে করোনা পজিটিভ আসায় যথারীতি তাকে কয়েক সপ্তাহ বিছানায় কাটাতে হয়। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও স্বাভাবিক জীবনে এখনও ফিরতে পারেননি গ্রিন।

সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‍“এরপর থেকে আমার মধ্যে চরম ক্লান্তি ও অবসাদবোধ কাজ করতে শুরু করে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আমার সম্পূর্ণ শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা আছে বলে অনুভব করতে পারি না। এক মিনিট হাঁটার পর আমি সত্যিকারার্থে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।”

গ্রিন বলেন, প্রতিদিন তার মাথা ঝিমঝিম করে, কোনো বিষয়ে মনোযোগ দেয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। স্মরণশক্তি দুর্বলতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে পড়া, লেখা ও কথা বলতে কষ্ট হয়।

কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পরও তিনি এখন সুস্থ নন। অধূমপায়ী এই তরুণীকে এখন প্রতিনিয়ত সঙ্গে ইনহেলার রাখতে হয়। তিনি বলেন, ‘ফুসফুসকে সক্রিয় রাখতে আমাকে কয়েক মিনিট পরপর ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়।’

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ