অসচেতনতায় যেন পণ্ড না হয় ঈদের খুশি

কড়া নাড়ছে মুসলমানদের বছরের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ আসে খুশির ঝলক হয়ে; কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার ঈদের সময়ে আমরা যাচ্ছি এক বিশাল বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। ঈদুল আজহাতে সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে, আমাদের এই ঈদের খুশি একটু অসচেতনতায় যেন পণ্ড না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।

এবার যেহেতু কোরবানির ঈদ করোনা মহামারীকালীন হচ্ছে, তাই নিরাপদে কোরবানির কাজ সম্পন্ন করতে নিতে হবে বিশেষ স্বাস্থ্য সতর্কতা। যেমন-

কোরবানির কাজটি সম্পূর্ণ করতে অবশ্যই পরিষ্কার তিন স্তরের কাপড়ের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও শুরুর আগে-পরে সাবান পানি বা জীবণুনাশক লিকুইড ব্যবহার করতে হবে। তাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা একদম কমে যাবে।

স্বস্তির কথা হচ্ছে গবেষণা বলছে, মাংস থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বললেই চলে; কিন্তু যদি যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এসব কাজে যুক্ত থাকেন, তাহলে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ছড়াতে পারে। তাই কোরবানির স্থানে বেশি লোকসমাগম করা যাবে না। অন্যবারের চেয়ে কম সংখ্যক সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ রাখুন কোরবানির কাজে।

কোরবানি শেষে কুসুম গরম পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে গোসল করুন ও গায়ের পোশাক পরিবর্তন করুন।

নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি ঢেলে রক্ত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। পশু কোরবানির রক্ত গর্তে মাটিচাপা দিয়ে পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখা যায়। এ ছাড়া যে জায়গায় মাংস কাটা হবে, সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

কোরবানির মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিতরণ করুন। এ বছর ভিড়বাট্টা পরিহার করা উচিত।

প্রতিবারের মতো কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহায়তা করতে হবে।

কোরবানির মাংসে জীবাণুর সংক্রমণ হলে মারাত্মক অ্যান্টারাইটিস হতে পারে। এ রোগ পেটের এক ধরনের সংক্রামক, যা খুবই ভয়াবহ। তাই সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তি দ্বারা মাংস কাটা, প্যাকেট করা এবং ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইসরায়েলের বিষয়ে নিজেদের শর্ত আরও কঠোর করল সৌদি আরব Nov 10, 2025
img
মুম্বাইয়ে নেহা কক্করের নাম করে বড় ধরনের প্রতারণার অভিযোগ Nov 10, 2025
img
শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ Nov 10, 2025
img
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্ট Nov 10, 2025
img
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে লেবাননে আবারও হামলা চালাল ইসরায়েল Nov 10, 2025
img

ভিডিও ভাইরাল

শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের ‘স্ত্রী’ বলে বিতর্কে বিএনপি নেতা Nov 10, 2025
img
অক্টোবরে প্রায় ২০৭ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি Nov 10, 2025
img
আজ মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ, কমতে পারে তাপমাত্রা Nov 10, 2025
img
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমি কেন ভয় পাব : জেলেনস্কি Nov 10, 2025
img
ক্যাটরিনার মাতৃত্ব নিয়ে সালমানের মন্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি Nov 10, 2025
img
নতুন নিয়মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন জারি Nov 10, 2025
img
হাবিবুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Nov 10, 2025
img
আজ দিনাজপুরে দুদকের ১৯০তম গণশুনানি Nov 10, 2025
img
বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর দিল্লি, তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা Nov 10, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মেনে নেবে না: দুলু Nov 10, 2025
img
আমরা আজ কলি হয়ে আছি, একদিন ফুটবই : নাহিদ ইসলাম Nov 10, 2025
img
সোনাক্ষী সিনহার সম্পদের পরিমাণ কত? Nov 10, 2025
img
বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ Nov 10, 2025
img
জিমের পরের যে ভুলে হতে পারে বড় বিপদ! Nov 10, 2025
img
টেকসই উন্নয়নে তারুণ্যের শক্তিকে মানবসম্পদে রূপ দিতে হবে : উপদেষ্টা আদিলুর Nov 10, 2025