নারীদের হৃদরোগ সম্পর্কিত যে তথ্যগুলি জেনে রাখা জরুরী

সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হৃদরোগ। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড পিভেনশনের মতে, দেশটিতে প্রতি ৫ জন নারীর একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

অন্যদিকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সার্কুলেশন জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে হৃদরোগ সম্পর্কে নারীদের সচেতনতা নিম্নমুখী।

 

এ সম্পর্কে যে সব তথ্য জেনে রাখা জরুরী

ড. ইউজিনিয়া জিয়ানস বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ২০১৯ সালেও কম বয়সী নারীদের মধ্যে সুস্থ হৃদপিণ্ড বজায় রাখতে সহায়ক এমন জীবন-যাপনের অভ্যাস ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এর জন্য মূলত তাদের সচেতনতার অভাব দায়ী।”

নারী ও পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ সমূহ কিছুটা আলাদা হতে পারে। বুকে ব্যথা একটি স্বাভাবিক লক্ষণ এছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যার সাথে আদতে হার্ট অ্যাটাকের কোন সম্পর্কই নেই, যেমন- ঘুম ঘুম ভাব, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব প্রভৃতি।

এছাড়া অন্যান্য লক্ষণ সমূহের মধ্যে রয়েছে-

পিঠ, চোয়াল, পাকস্থলী ও দুই হাতে ব্যথা এবং অস্বস্তি।

প্রচুর ঠাণ্ডা ঘাম হওয়া।

শ্বাসকষ্ট, সাথে বুক ব্যথা থাকতে পারে।

বমি।

বুক ব্যথা।

 

মহিলাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী কারণগুলি হচ্ছে-

উচ্চ রক্তচাপ,

রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল,

ডায়াবেটিস, 

ধূমপান,

অতিরিক্ত সময় বসে কাটানো,

স্থূলত্ব,

জিনগত ইতিহাস।

তবে এইসব ঝুঁকি নেই যে সব মহিলার তাদেরও উচিত স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা।

এনওয়াইইউ হেলথ উইমেনস হার্ট প্রোগ্রামের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. নিকা গোল্ডবার্গ বলেন, “প্রচলিত কারণগুলি ছাড়াও বিভিন্ন অটোইমিউন ডিজিজ যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণেও নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”

হৃদরোগ থেকে বেঁচে থাকতে নারীদের যা করতে হবে-

ফলমূল, শাকসবজি এবং দানাদার শস্য সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন যাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল, লবণ এবং চিনির পরিমাণ কম থাকবে।

ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।

অ্যালকোহল গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস করতে হবে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।

আপনার পরিবারের ইতিহাস জানুন (অন্য কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত কিনা)।

প্রয়োজনে উপযুক্ত অ্যাসপাইরিন থেরাপি গ্রহণ করুন।

 

সর্বোপরি সামাজিক পর্যায়ে নারীদের মধ্যে হৃদরোগ সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। সেই সাথে হৃদরোগ মুক্ত থাকা যায় এমন জীবন যাপন সম্পর্কে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে বলেও মনে করেন গোল্ডবার্গ। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন।

 

টাইমস/এনজে

https://www.healthline.com/health-news/heart-disease-is-the-top-cause-of-death-in-women-but-few-know-warning-signs#Causes-of-heart-disease-in-women

 

Share this news on: