করোনা: রক্তের গ্রুপ কী সংক্রমণ ঝুঁকির কারণ?

সম্প্রতি প্রকাশিত দুইটি পৃথক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যাদের রক্তের গ্রুপ ও (পজেটিভ বা নেগেটিভ) তাদের করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার কিংবা আক্রান্ত হলেও রোগটি তাদের দেহে জটিলতা ধারণ করার সম্ভাবনা কম।

গবেষণা থেকে আরো জানা যাচ্ছে, কোনো ব্যক্তির সংক্রমণের সংবেদনশীলতা এবং সংক্রমণ পরবর্তী রোগের তীব্রতার সাথে রক্তের ধরণ বা গ্রুপের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এর সঠিক কারণ এখনো সুস্পষ্ট নয়, এই সম্পর্ক উন্মোচনে তাই বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।

ডেনমার্কে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৪২২ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীদের মধ্যে ৩৮.৪ শতাংশ ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ ‘ও’। কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মোট ৪১.৭ শতাংশ মানুষের রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ বা নেগেটিভ।

অন্যদিকে এ গ্রুপের রক্ত রয়েছে ৪২.৪ শতাংশ লোকের, কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এ গ্রুপের রক্ত রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ৪৪.২ শতাংশ ব্যক্তি কোভিড-১৯ পজেটিভ।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ ৯৫ জন রোগীর উপর পরিচালিত  অন্য এক গবেষণায় কানাডার গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, রক্তের গ্রুপ এ বা এবি (পজেটিভ বা নেগেটিভ) রোগীদের ৮৪ শতাংশের ভেন্টিলেশন সহায়তা নিতে হয়েছে। অন্যদিকে যাদের রক্তের গ্রুপ ও কিংবা বি তাদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৬১ শতাংশ।

দ্বিতীয় গবেষণাপত্রটির লেখক কানাডার ভ্যাঙ্কুভার জেনারেল হসপিটালের ইনটেনসিভ কেয়ার ফিজিশিয়ান ড. ম্যাপিন্ডার সেখন। তিনি বলেন, ‘একজন চিকিত্সক হিসাবে আমি যখন রোগীদের দেখি এবং সেবা প্রদান করি তখন এটি আমার মনের মধ্যে চলতে থাকে। তবে একে একটি নির্দিষ্ট চিহ্ন হিসাবে বিবেচনা করার আগে অবশ্যই এ বিষয়ে আরো প্রমাণ এবং সূক্ষ্ণ বিচার-বিশ্লেষণ প্রয়োজন।’

তার মতে, আপনার রক্তের গ্রুপ এ হলে এতে আতঙ্কিত হয়ে যাবার কিছু নেই। আবার আপনার রক্তের গ্রুপ যদি ও হয়, তাহলে অতি উৎসাহী হয়ে জন সমাগমপূর্ণ স্থানে ঘুরে বেড়ানোও বোকামি হবে।

দু’টি গবেষণাপত্রই ‘ব্লাড অ্যাডভান্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র: সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: