করোনা রোগীর দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি কাজ করবে ৫-৭ মাস

পূর্ববর্তী বিভিন্ন গবেষণায় থেকে ধারণা করা হচ্ছিল কোভিড-১৯ বা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে যে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয় তা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফল বলছে, এই অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা থাকবে কমপক্ষে ৫-৭ মাস। অর্থাৎ কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রাকৃতিক ভাবে পরবর্তী ৫ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত ভাইরাসটি প্রতিরোধের  সক্ষমতা অর্জন করবে।

গবেষণায় আরো জানা যায়, প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন এই অ্যান্টিবডি নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই ভাইরাসগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে।

এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার ইমিউনোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৫-৭ মাস পরেও দেহে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি কতদিন কার্যকর থাকে তা নিয়ে নানা ধরণের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তাই আমরা এই প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার জন্য গবেষণা চালাই।’

তিনি আরও বলেন, সার্স-কোভ ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে ২০০৪-২০০৫ যে ‘সার্স’ মহামারী ছড়িয়েছিল সেসময় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহে উৎপন্ন অ্যান্টিবডি এখনো কার্যকর রয়েছে। কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির সাথে সার্স-কোভ ভাইরাসের অনেক মিল রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা আশা করছি এর অ্যান্টিবডিগুলো অন্তত ২ বছর টিকে থাকবে।

আলোচিত গবেষণায় শরীরে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন ৬ হাজার ব্যক্তির ওপর পর্যালোচনা ও সমীক্ষা চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার কলেজ অব মেডিসিন কর্তৃপক্ষ এই গবেষণাটি পরিচালনা করে।

এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটি স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ‘ইমিউনোলোজি’তে প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আফগানিস্তানের পক্ষে ‘বাজি’ ধরে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিলেন শোয়েব মালিক Sep 16, 2025
img
মিমি-অঙ্কুশের পর এবার বেটিং বিপাকে সোনু সুদ Sep 16, 2025
img
নির্বাচনের পরও বিচার চালিয়ে নেওয়ার রোডম্যাপ চেয়েছেন নাহিদ ইসলাম Sep 16, 2025
img
অর্থহীনের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর, আসছে চমক Sep 16, 2025
img
কিছু আসনের লোভে পিআর চাইলে জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি আসবে : সালাহউদ্দিন Sep 16, 2025
img
কাজল-টুইঙ্কলের সঞ্চালনায় দীর্ঘদিন পর জমবে বরুণ-আলিয়ার আড্ডা Sep 16, 2025
img
আর মাত্র ২৮ রানের অপেক্ষায় লিটন দাস! Sep 16, 2025
img
রাতারাতি ব্রেকআপ, করতে চেয়েছিলেন আত্মহত্যা! Sep 16, 2025
img
জাপার কাদের-শামীমের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ছাত্র অধিকার নেতার Sep 16, 2025
img
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি শুক্রবার, ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে হবে পরীক্ষা Sep 16, 2025
img
ফের বিশ্ববাজারে বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
টানা ৮ দিন চীনা ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা Sep 16, 2025
img
‘আমি খুব কৃতজ্ঞ মানুষ, মিথ্যা কথা বলি না’ Sep 16, 2025
img
চূড়ান্তভাবে একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক Sep 16, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে এজলাস সংকট, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা Sep 16, 2025
img
তিন মামলা থেকে চসিক মেয়রকে অব্যাহতি Sep 16, 2025
img
ছাত্রলীগ এখন ছাত্রশিবির : দুলু Sep 16, 2025
img
বিজয় দেবরাকোন্ডার নতুন ছবিতে খলনায়ক হিসেবে থাকছে হলিউড তারকা Sep 16, 2025
img
ঢাবি বাগছাসের মুখ্য সংগঠক হাসিবের পদত্যাগ Sep 16, 2025
img
সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত : দুদু Sep 16, 2025