তৈরি হলো কৃত্রিম ত্বক

অবশেষে কৃত্রিম ত্বক তৈরি করতে সক্ষম হলেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার একদল গবেষক এমন এক ধরনের সেন্সর আবিষ্কার করেছেন, যা কৃত্রিমভাবে তৈরি ত্বকের সাহায্যে মানবদেহের গতিবিধি বুঝতে পারে।

সম্প্রতি “অ্যাডভান্সড ম্যাটারিয়ালস” জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

আবিষ্কৃত এই সেন্সরের মধ্যে ত্বকের অনুভূতিমূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা চাপ ও কম্পন বুঝতে পারে এবং অদূর ভবিষ্যতে পারিপার্শ্বিক বিশ্বকেও বুঝতে পারবে বলে মনে করেন কানেক্টিকাট বিশ্ববিদ্যালয় ও টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণাদল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেন্সরটি তামার তার দিয়ে মোড়ানো একটি সিলিকন টিউবের দ্বারা তৈরি, যা আয়রন অক্সাইডের অতি ক্ষুদ্র অসংখ্য কণা দ্বারা পরিপূর্ণ।

এই ক্ষুদ্র কণাগুলো সিলিকন টিউবের ভেতরে ঘর্ষণ করে এবং একটি বৈদ্যুতিক কারেন্ট তৈরি করে। সিলিকন টিউবের পেঁচানো তামার তার কারেন্টকে সংকেত হিসেবে গ্রহণ করে।

যখন এই টিউবটি চাপ সৃষ্টিকারী কোনো কিছুর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয় তখন অতি ক্ষুদ্র কণাগুলো নড়াচড়া করে এবং বৈদ্যুতিক সংকেতের পরিবর্তন হয়।

গবেষকরা দেখেছেন যে, বৈদ্যুতিক কারেন্টের এই পরিবর্তনগুলো ব্যক্তির গতিবিধির প্রতিফলন ঘটাতে পারে। ফলে এগুলো হাঁটা, দৌড়ানো, লাফ দেয়া কিংবা সাতার কাটার মাধ্যমে সৃষ্ট সংকেতগুলোকে পৃথক করতে পারে।

শব্দ তরঙ্গ ও চৌম্বক ক্ষেত্র এই সংকেতগুলোকে পরিবর্তন করতে পারে বলে গবেষকরা মনে করেন। এই সেন্সরে পানি নিরোধক রাবারের বহিরাবরণ রয়েছে। তাই এটি পরিধেয় মনিটর হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, যা সন্তান পানিতে বা পুকুরে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মাকে সতর্ক করে দেবে।

এখন গবেষণাদলের পরিকল্পনা হচ্ছে এই সেন্সরটিকে ত্বকের ন্যায় সমতল আকৃতির করে তৈরি করা, যাতে এটা দেখতে ত্বকের মত মনে হয় এবং ত্বকের ন্যায় কাজ করতে সক্ষম হয়।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস 

Share this news on: