মাড়ির রোগ থেকে হতে পারে হৃদরোগ-ক্যান্সার

কানাডার টরোন্টো ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণায় মাড়ির রোগের সাথে প্রদাহ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো প্রদাহ জনিত অন্যান্য রোগের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাড়ির রোগ দেহের অন্যান্য অংশের প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে।

মাড়ির রোগ বা পেরিওডোন্টাইটিসে আক্রান্ত হলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ওই অঞ্চলের ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে। এর ফলে দেহে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ধীরে ধীরে দাঁতের সাথে সম্পর্কিত নরম পেশি ও হাড়ের ক্ষয় সাধন ঘটে।

গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদী এই প্রদাহের ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিতে পারে।

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, মাড়ির রোগের জন্য দায়ী রক্তকণিকা (নিউট্রোফিলস) দেহের অন্যান্য অংশের প্রদাহকে অতি সংবেদনশীল করে তোলার মধ্য দিয়ে এসব রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এই নিউট্রোফিলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ, এর থেকে নিঃসরিত সাইটোকিন কণিকা সমূহ প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখে।

গবেষক প্রফেসর মিশেল গ্রগাউর বলেন, “এইসব নিউট্রোফিলস খুব দ্রুতই সাইটোকিন নিঃসরণ ঘটায়। মনে হয় যে এগুলো সেকেন্ড গিয়ারে আছে, কিন্তু এদের ফাস্ট গিয়ারে থাকার কথা ছিল।”

প্রাথমিক পর্যায়ে ইঁদুরের উপর গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে পেরিওডোন্টাইটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের মেরুদণ্ডে অতি দ্রুত নিউট্রোফিলসের নিঃসরণ ঘটে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া।

পরবর্তীতে ল্যাবে মানুষের উপর একটি পরীক্ষাও চালানো হয়। সেখানে সেচ্ছায় অংশগ্রহণকারীদেরকে ৩ সপ্তাহ দাঁত ব্রাশ না করতে বলা হয়েছিল।

৩ সপ্তাহ পর তাদের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় নিউট্রোফিলসের কারণে রক্তে প্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ভাল ভাবে দাঁত জীবাণুমুক্তকরণ ও ব্রাশ করার পর দেখা যায় দেহের নিউট্রোফিলসের নিঃসরণ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে এসেছে।

তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে

 

টাইমস/এনজে

Share this news on:

সর্বশেষ