কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকর এমন আরও ৩টি নতুন ওষুধের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকরা। ওষুধগুলো মূলত অন্য রোগের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তৈরি হলেও সেগুলো কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর শরীরে ভালো ভাবে কাজ করেছে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে এরই মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গোটা পৃথিবীতে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতি কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নতুন একটি ওষুধ আবিষ্কার বেশ সময় সাপেক্ষ। নতুন একটি ওষুধকে অনুমোদন পেতেও বেশ কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া সেই ওষুধের উৎপাদন ও বণ্টনের জন্যও আলাদা সময় প্রয়োজন। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এরই মধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। একইসাথে এগিয়ে চলছে নতুন ওষুধের খোঁজ।
গবেষকরা এলবিভিএস ব্যবহার করে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে এমন প্রায় ৪,০০০টি ওষুধের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ ‘অ্যামোডিয়াকুইন’, অ্যান্টি-সাইকোটিক ড্রাগ ‘জুক্লোপ্যান্থিক্সল’ এবং উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘নেবিভোলল’ কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ ‘রেমডিসিভির’ কিংবা ‘ফ্যাভিপাইরাভির’ এর সাথে সমন্বিত ব্যবহারে আলোচিত ওষুধ তিনটি বিশেষ ভাবে কার্যকর। তবে এই বিষয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে মেডিসিন এবং ফার্মাসিটিক্যাল সাইন্সের প্রফেসর টুডর অপ্রেরা বলেন, “একটি হাতুড়ির (সমাধানের) বদলে আমরা দু’টি হাতুড়ি দিচ্ছি, যা আরো বেশি কার্যকর হবে।”
এর আগে বেশ কয়েকটি গবেষণায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডিসিভিরকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে সর্বশেষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা গবেষণার ফলাফলে দাবি করা হয়েছে এই ওষুধগুলি কোভিড-১৯ চিকিৎসায় তেমন কোনো ফলাফল বয়ে আনতে সক্ষম নয়। তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে
টাইমস/এনজে/এসএন