কথায় আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তবে এটি শুধু কথার কথা নয়, এই প্রবাদের সত্যতা বিভিন্ন সময় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করে নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ও শারীরিক সক্ষমতার সাথে মানসিক স্বাস্থ্যেরও সম্পর্ক রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, শারীরিক সক্ষমতা কম হলে এর ফলে বিষণ্ণতা, অবসাদ ও উদ্বেগের প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিলে তা শারীরিক সমস্যার মতই মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। প্রধান দুইটি মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা হচ্ছে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ।
প্রায় দেড় লাখ লোকের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ও পেশীগত সক্ষমতা মানসিক স্বাস্থ্যকে স্পষ্টত প্রভাবিত করে। গবেষণাটি বিএমসি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটিতে যুক্তরাজ্যের বায়োবাংক থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যেখানে পরিচালিত এক সমীক্ষায় ২০০৯-১০ সালের মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৮ জনের শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষাও গ্রহণ করা হয়।
৭ বছর পর আবারও দুইটি পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষকগণ অংশগ্রহণকারীদের বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের মাত্রা নির্ণয় করেন। এতে করে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক দেখা গেছে।
যাদের হৃদযন্ত্র ও পেশীর সক্ষমতা অন্যদের তুলনায় কম তাদের মধ্যে উদ্বেগের প্রবণতা ৬০ শতাংশ এবং বিষণ্ণতার প্রবণতা ৯০ শতাংশ বেশি।
গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অ্যারন ক্যান্ডোলার বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা আবারও প্রমাণ করতে সক্ষম হলাম যে শারীরিক সক্ষমতা শুধু দৈহিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
গবেষকরা অবশ্য একইসাথে আশার কথাও শুনিয়েছেন। তাদের মতে, ব্যক্তির দৈহিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে এমনকি মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যেও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর ফলে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ৩২ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস হতে পারে।
তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
টাইমস/এনজে/এসএন