ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে পদযাত্রা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকার রাজপথ। বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত আইনটির বাতিলের দাবিতে বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা বের হয়।

পদযাত্রাটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে মৎস্য ভবন মোড় অতিক্রম করে পরীবাগ মোড়ে পৌঁছে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এতে পদযাত্রা থেমে যায়।

এসময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অতীতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ চড়াও হলেও আজ তারা ধৈর্যধারণ করেছে। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশ ভদ্র আচরণ করায় আমরাও তাদের কথা আজ রাখলাম। আমরা আজ ফিরে যাচ্ছি, তবে আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা না হয়, তাহলে আমরা আবারও মাঠে নামবো। সেদিন কারও কথায় আমরা ফিরে যাবো না।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের একই দাবিতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দল, বিএনপি নেতাকর্মী ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে থেকে দ্রুত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তব্য দেন। এসময় তারা কারাবন্দি কার্টুনিস্ট আহমেদ কিশোর কবির জামিন পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

সমাবেশ শেষে পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমগীতের সংগঠক বীথি ঘোষ, লেখক ও প্রাবন্ধিক অরূপ রায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে থাকা রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল আলম ভূঁইয়া, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান প্রমুখ।

পদযাত্রায় সংহতি প্রকাশ করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘ট্রেটর্স’ জিতেও শান্তি নেই, শুভেচ্ছার বদলে হুমকি পাচ্ছে উরফি! Jul 04, 2025
img
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও মঞ্চে ব্ল্যাকপিঙ্ক Jul 04, 2025
img
সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা বললেই তা বাতিল হয়ে যায় না: রিজভী Jul 04, 2025
img
তিন সপ্তাহ পর ইরানে অবতরণ করল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট Jul 04, 2025
img
পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপে কোনো অগ্রগতি হয়নি : ট্রাম্প Jul 04, 2025
img
আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি চাঁদা দাবি করে, সে আমার লোক নয় : সারজিস Jul 04, 2025
এখনও কোটা বহাল! বুয়েট বন্ধ করে দিতে বললো শিক্ষার্থীরা! Jul 04, 2025
img
বৈধ উৎস নেই, তারিক সিদ্দিকের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আহ্বান Jul 04, 2025
গোলাম মাওলা রনির প্রতি সরাসরি অভিযোগ প্রেস সচিবের Jul 04, 2025
বাংলাদেশপন্থী কারা, হাসনাত আব্দুল্লার উত্তর Jul 04, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, রোধ হবে দুর্নীতি : মাসুদ সাঈদী Jul 04, 2025
img
বিএনপিতে কোনো হাইব্রিডদের জায়গা হবে না : আহমেদ আযম খান Jul 04, 2025
img
দিয়োগো জোতার সম্মানে তার ২০ নাম্বার জার্সি তুলে রাখলো লিভারপুল Jul 04, 2025
img
‘আমায় পাকিস্তানি বললেও চলবে’, পুরনো মন্তব্যে ফের বিতর্কে কারিনা Jul 04, 2025
img
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ স্থগিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিসিবি Jul 04, 2025
img
আমাদের বিচ্ছেদ পারসোনাল ইস্যু ছিলো না, ছিল ন্যাশনাল ইভেন্ট: মিথিলা Jul 04, 2025
img
ফিরছে ‘গাল্লি বয়’, তবে এবার নতুন মুখে ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে Jul 04, 2025
img
টিকটক তারকা ক্রিস্টোফারকে গুলি করে হত্যা Jul 04, 2025
img
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারাল শতাধিক মানুষ Jul 04, 2025
কঙ্গনার ব্যক্তিগত ছবি চাইতেন হৃতিক, পাঠাতেন নিজের ছবিও Jul 04, 2025